১২ দলীয় জোটের কর্মশালায় গয়েশ্বর
বিলম্ব না করে নির্বাচন দিন জনগণ স্যালুট জানাবে
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
![বিলম্ব না করে নির্বাচন দিন জনগণ স্যালুট জানাবে](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/09/Goessor-y-67a8cde6d2af1.jpg)
ফাইল ছবি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা-তা দেখা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, কালবিলম্ব না করে সময়মতো, যৌক্তিক টাইমে নির্বাচন দিন, সবাই স্যালুট জানাবে।
রোববার
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার
গণতানি্ত্রক সংস্কার, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে প্রণীত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা
ও জনসম্পৃক্তি' শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট। কর্মশালায় ৩১
দফা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদষ্টো ড. মাহাদি আমিন।
গয়েশ্বর
রায় আরও বলেন, জনগণ অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই শক্তিকে দৃশ্যমান করতে হবে।
একজন (শেখ হাসিনা) ষড়যন্ত্র করে কাপড় নিয়ে
দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন। এখন যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তারা আগামী দিনে কাপড়
পরেও পালানোর পথ পাবেন না। আমার দেখেছি, রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের মধ্যে কোনো সমন্বয়
নেই। প্রধান উপদষ্টো বলেন এক কথা, তার সহকারীরা বলেন আরেক কথা। প্রধান উপদষ্টোর কথা
উপদষ্টোমণ্ডলীর সবার কথা কিনা সে ব্যাপারেও আমাদের সন্দেহ আছে।
ধানমন্ডি
৩২ নম্বরের ঘটনা উলে্লখ করে তিনি বলেন, ৬-৮ আগস্ট যদি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুর করে পুকুর
তৈরি করে মাছ চাষ করত কেউ কিছু বলদ না। ৬ মাস পরে আমাদের এই চেতনাবোধ এলো কেন? আমরা
যদি ব্যাক টেডিশন তৈরি করি, তাহলে আগামী দিন আপনার-আমার বাড়ি ভাঙচুর হবে। ভাঙচুরের
নামে বাজে ট্রেডিশন চললে সংস্কার করে কী লাভ? এখন শেখ মুজিবের মৃত দিবস পালিত হবে ৫
আগস্ট। শেখ হাসিনা তাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছেন।
গয়েশ্বর
বলেন, ৩১ দফা একটি জাতীয় সনদ। ৬২টি দল একমত হয়ে এই সনদ প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে
যাচ্ছে।
কর্মশালায়
সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা
জামাল হায়দার বলেন, ৩১ দফা আজকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত সরব ও বহুল চলমান একটি
বিষয়। এটি বাঙালি জাতির মনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। এ ব্যাপারে আমাদের কারও কোনো
দ্বিমত নেই। আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে অক্ষরে অক্ষরে প্রতিটি দফা বাস্তবায়ন
করব। আমাদের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধাকে আমাদের চিহ্নিত করতে
হবে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। তাহলে আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন
ঘটবে।
জোটের
মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, একটা অশনিসঙ্কেত দেখছি
এ কারণে আমরা আতঙ্কিত। কয়েকজনের উসকানিতে সমগ্র জাতি আজ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্য
দিয়ে যাচ্ছে। উপদষ্টোরা বিপ্লবের চেতনা ধারণ করছেন না। তারা আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত।
কর্মশালায়
আরও বক্তব্য দেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা,
জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা
বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি, জাতীয় গণতানি্ত্রক পার্টির (জাগপা)
সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের
মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, ১২ দলীয় জোটের নেতা ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম,
প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারম্যান, ফিরোজ মো. লিটন, নয়া গণতানি্ত্রক পার্টির
চেয়ারম্যান এমএ মান্নান প্রমুখ। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জোটের সহস্রাধিক নেতাকর্মী অংশ
নেন।