বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, খুনি হাসিনা ভারত থেকে উসকানি দিচ্ছেন। উনি দেশে আসবেন বলছেন। এখানকার আওয়ামী লীগের দোসররা বলছে- আপা আসেন। কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে আসবেন বলছেন।

শনিবার দুপুরে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের বিজেপি সরকারকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেন, ভারতের বিজেপি সরকারের মন্ত্রীরা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদের মাস্টারমাইন্ড খুনি হাসিনা যার বিরুদ্ধে আদালত থেকে ওয়ারেন্ট রয়েছে; তার বিরুদ্ধে দুই শতাধিক মামলা রয়েছে। এই খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে- হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের জন্য ভারত দায়ী নয়। এই কথা অসত্য। আমরা এই কথার নিন্দা জানাই। আমরা বলছি, ভারত তুমিই দায়ী। কেন তুমি খুনের মাস্টারমাইন্ড, মানবতাবিরোধী অপরাধী হাসিনাকে আশ্রয় দিলে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্যের সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রীয় নীতির কোনো মিল নাই। ভারত একটি বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানের সাম্প্রদায়িক, প্রতিক্রিয়াশীল বিজেপি সরকার এসব করছে। সেখানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনি হাসিনা এসব উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। আমাদের দেশের অখণ্ডতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে।

তিনি আরও বলেন, বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজ হয়তো গণবিস্ফোরণের খুনের জায়গা থেকে তাদের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। আমরা বলব শান্ত হন। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব নাগরিক হিসাবে সবার। যেসব ঘটনা ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত। সরকারের উচিত এসব পরিস্থিতিকে শান্ত করে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনা। সেই সঙ্গে লুটপাটকারী খুনি হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের ট্রাইব্যুনালে বিচার করা। 

জেলা আমির মাওলানা অধ্যাপক ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সেক্রেটারি ছামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম ভুইয়া, সাবেক জেলা আমির মাওলানা এনামুল হক, সুধীর সরকার শুভ, জাতীয় নাগরিক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফাহিম খান পাঠান প্রমুখ।

সম্মেলনে সমমনা আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। কর্মী সম্মেলনে দলটির অন্তত ৩০ হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন।