Logo
Logo
×

রাজনীতি

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া

রাজনৈতিক দলগুলো কঠোর হাতে নৈরাজ্য দমন চায়

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম

রাজনৈতিক দলগুলো কঠোর হাতে নৈরাজ্য দমন চায়

ছবি: সংগৃহীত

দেশের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ক্রমেই বাড়ছে, এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে এর প্রসার ঘটবে-এমন আশঙ্কা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। এজন্য কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করার দাবি জানিয়েছেন নেতারা। তারা বলছেন, দেশের শৃঙ্খলা ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে নৈরাজ্যকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কঠোর হাতে দমন করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

বিগত দুইদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলো গভীর উদ্বেগ জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। যার উপসর্গ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তির নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। শেখ হাসিনা অবৈধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে বঙ্গবন্ধুকে জনগণের ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিলেন। এখনো পালিয়ে থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ও উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার উসকানি দেন। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনা উলটো আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সামাজিক পুনর্বাসনের রাস্তাই কেবল প্রশস্ত করবে। শেখ হাসিনার উসকানির ফাঁদে জড়িয়ে পড়লে একদিকে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের শক্তি শক্তিশালী হবে, অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বাড়বে। এসব অরাজক ঘটনার দায়দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না। 

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করেন। দুর্বল হাতে এই দেশ চালানো সম্ভব নয়। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক এক বিবৃতিতে বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন, অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সংগ্রামে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনতার অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আগামী দিনে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশপ্রেমিক জনতার কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ দেখার প্রতীক্ষায় আছি আমরা সবাই। তিনি আরও বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তির দোসর ও পরিকল্পনাকারীরা জনতার জাগরণের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। 

শুক্রবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে যে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে, তা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। জনগণের অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যে জনগণের ভেতরে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, এর ফলে এসব ঘটনা ঘটেছে। ক্ষোভ প্রকাশের এ প্রক্রিয়া আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে সুগম না করে বরং জটিল করে তুলতে পারে।

খেলাফত মজলিস মনে করে, ছাত্র-জনতার রোষানলের দায় শেখ হাসিনাকেই বহন করতে হবে। রাষ্ট্রসংস্কার এক বিবৃতিতে জানায়, আওয়ামী লীগ ও তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে গণ-অভ্যুত্থানের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম