কারও বেতন বাড়ে ৩ হাজার, কারও বাড়ে ৩০ হাজার: মান্না
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
মাহমুদুর রহমান মান্না
৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ও নবম পে-স্কেল বাস্তবয়নসহ ৭ দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করছেন ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা। সমাবেশ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় সারা দেশের সব অফিসে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশ বিকাল পর্যন্ত চলে।
মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
মান্না বলেন, সরকারি চাকরির সব গ্রেডে চরম বৈষম্য। শতাংশের হারে বেতন বাড়ালে কারও বাড়ে ৩ হাজার টাকা, কারও বাড়ে ৩০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, এ সরকার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে চেয়ারে বসেছে; কিন্তু তারা কোনো বৈষম্য নিয়ে নিজেরা কথা বলে না। কোনো বক্তব্য-বিবৃতিও দেয় না। আপনারা যারা বৈষম্য নিয়ে রাস্তায় আসেন, তাদের কারোটা শোনে, কারো কথা আবার সরকার শোনেন না। এজন্য আগে সরকারের কানে বাতাস দিতে হবে, পরে ঝড় তুলতে হবে। এক-দুই লাখ লোক জোগাড় করে আনেন, তারপর দেখবেন দাবি-দাওয়া এমনিই মেনে নেবে।
সমাবেশে সরকারি কর্মচারীরা বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিরলস মানুষের সেবা দিয়ে আসছে। তারা যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। অবিলম্বে ৭ দফা দাবি মেনে নিতে হবে।
তারা বলেন, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের দাবি-দাওয়া মেনে না নেওয়া হলে সারাদেশের সব সরকারি অফিসে ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১১-২০তম গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরামের সমন্বয়ক মাহমুদুল হাসান। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ১৭-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির সমন্বয়ক রফিকুল আলম।