Logo
Logo
×

রাজনীতি

শহিদ নজির আহমদ দিবসে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নানা কর্মসূচি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১১ পিএম

শহিদ নজির আহমদ দিবসে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের নানা কর্মসূচি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহিদ নজির আহমদের শাহদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। এরই অংশ হিসেবে শহিদ নজিরের কবর জিয়ারত করেছেন দলটির নেতারা। 

রোববার সকাল ৯টায় ৮২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ নজিরের সমাধিস্থল আজিমপুর কবরস্থানে নেতৃবৃন্দ কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সাংগঠনিক প্রধান মো. শফিউর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক রাবেয়া আকতার, সহকারী সদস্য সচিব ডা. মাসুম বিল্লাহ ও সদস্য মো. মামুনুর রশীদ, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহবায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, যুগ্ম আহবায়ক ইয়ামিন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ ও নিয়াজ আহমদ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আরিফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব মো. ফরহাদ আহমেদ আলী। 

শহিদ নজির আহমদের শাহাদাত বার্ষিকীকে ‘সাম্প্রাদায়িকতা বিরোধী শহীদ নজির আহমদ দিবস’ হিসেবে পালন করছে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ। এ উপলক্ষে শহিদ নজিরের কবর জিয়ারতের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৩ সালের জানুয়ারির শেষদিকে ছাত্রীদের একটি অনুষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া এবং পূজার্চনা বিধিকে কেন্দ্র করে হিন্দু এবং মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ও মুসলমান ছাত্ররা মোটাদাগে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। 

ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন-বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুরাতন ভবনে-ক্লাস চলছিল। পূর্বের ঘটনার জের ধরে ক্লাস চলাকালীন হিন্দু ও মুসলমান ছাত্রদের মধ্যে শুরু হলো সহিংসতা। লাঠিসোটা নিয়ে একদল আরেক দলের ওপর হামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দুই দল আবির্ভূত হয় সম্মুখ সমরে। দুই দলেরই বেশ কিছু ছাত্র আহত হয়। এসময় মুসলিম ছাত্রনেতা নজির আহমদ প্রতিপক্ষের হামলায়, ছুরিকাঘাতে আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তার বন্ধুরা তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করে কিন্তু বিরতিহীন রক্তক্ষরণের ফলে ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি শহিদ হন।  

নজির আহমেদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রথম শিকার। যার ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম ছাত্ররা ২ ফেব্রুয়ারিকে শহিদ নজির দিবস হিসাবে ঘোষণা করে এবং ১৯৪৩ থেকে শহিদ নজির দিবস উদযাপন করা শুরু করে। এছাড়াও শহীদ নজিরের স্মৃতি রক্ষায় তার বন্ধুরা সিদ্দিকবাজারে ‘শহিদ নজির লাইব্রেরি’ নামে একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম