Logo
Logo
×

রাজনীতি

দুই নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন রাজশাহীর কমিটি বাতিলে আলটিমেটাম

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৮ পিএম

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন রাজশাহীর কমিটি বাতিলে আলটিমেটাম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন কিছু শিক্ষার্থী। আওয়ামী দোসর, চাঁদাবাজ ও হত্যা মামলার আসামিও কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ। তারা কমিটি বাতিলে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম এবং দুই নেতাকে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন।

শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে নগর কমিটির সদস্য সাফিউল ইসলাম অনিক ও আরিবুল ইসলাম আবিরও উপস্থিত ছিলেন। তারা ইতোমধ্যে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষার্থী জুবায়ের রশিদ। তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল জুলাই বিপ্লবের প্রকৃত নায়কদের মাইনাস করে, ৫ আগস্টের পর সুবিধাভোগী কিছু অনুপ্রবেশকারীর মাধ্যমে প্রহসনের পকেট কমিটি গঠন করেছে। তিনি বলেন, ফাতিন মাহাদী (বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি) ও মাহিন সরকার (জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য) মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এই কমিটি গঠন করেছে। এর সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার ও তার সহযোগীরাও জড়িত। আরও উদ্বেগের বিষয়, এই কমিটির নেতৃত্বে এমন অনেককে রাখা হয়েছে যারা সরাসরি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। 

জুবায়ের বলেন, রাজশাহীর সর্বস্তরের ছাত্রসমাজ এই পকেট কমিটিকে সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে। একই সঙ্গে রাজশাহীর মাটিতে মাহিন সরকার ও সালাউদ্দিন আম্মারকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আম্মার যুগান্তরকে বলেন, যে ১৫-২০ জন সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা আন্দোলনে ছিলেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেককেই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তারা কিন্তু তখন কমিটিতে থাকতে চায়নি। লিখিত বক্তব্য পাঠ করা ব্যক্তি জুবায়ের রশিদ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদের ছেলে। তার পাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিল।

আম্মার বলেন, কমিটি একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে। ঢাকা থেকে বিভাগীয় প্রতিনিধি এসেছিল। সেখানে তারা বিভাগীয় প্রতিনিধি ফাতিনের ওপর হামলা করে। তিন মাস ধরে জেলা-উপজেলায় সার্ভে করেই কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমি এই কমিটি গ্রহণ করছি। কারণ, আগের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আর এখনকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক নয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম