ছাত্রজনতার ওপর যারা গুলি করেছে তারা এখনও বহাল তবিয়তে: দুদু
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেখা হাসিনার প্রেতাত্মারা দেশে রয়ে গেছে জানিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে বারবার নানা কৌশল অবলম্বন করছেন হাসিনা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।’
মঙ্গলবার গাইবান্ধা স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপির
সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে হাসিনা ও তার দোসররা দেশে লুটপাট করেছে। মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে দেশটাকে কারাগার বানিয়ে রেখেছিল। মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় মানুষ নেমেছিল। ছাত্রজনতার রোষানলে হাসিনা পালিয়ে গেছে। ’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা কী ছিল সেটা সবাই জানেন। আকাঙ্ক্ষা ছিল, মানুষ যেন ভোট দিতে পারে। স্বাচ্ছন্দ্যভাবে যেন বাজার করতে পারে। খুন ও গুম যেন বন্ধ হয়। দুর্নীতি যেন বন্ধ হয়। কিন্তু এগুলো বন্ধ হয়েছে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা ছাত্রজনতার ওপর গুলি করেছে, তারা এখনও বহাল তবিয়তে আছে।’
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ইঙ্গিত করে দুদু বলেন, ‘সরকারের কিছু সদস্য সন্তানতুল্য।তারা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছিল।সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বাজার ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের দমিয়ে রাখাও সম্ভব হবে না।’
অর্ন্তবর্তী সরকারের ওপর আস্থা রয়েছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন এবং দেশকে গণতন্ত্রমুখী ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। শুধু সংস্কার নয়, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যৌক্তিক সময়ে সংসদ নির্বাচন হলে দেশের সব সংকট কেটে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন,
‘আপনি সম্মানিত মানুষ। এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে আপনার ওপর দেশের মানুষের সন্দেহের
সৃষ্টি হয়। আপনার ওপর এখনো বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা আছে। সেই আস্থা
নষ্ট করবেন না। আপনাকে কেউ না কেউ ব্যবহার ও কলঙ্কিত করতে চাচ্ছে। এ জায়গায় সতর্ক থাকতে
হবে।’