Logo
Logo
×

রাজনীতি

আজহারী কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্পদ নয়: মাসুদ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

আজহারী কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্পদ নয়: মাসুদ

ড. মিজানুর রহমান আজহারী কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্পদ নয়। তিনি এই দেশ ও গোটা মুসলিম উম্মাহর সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

তিনি বলেন, আজহারীকে নিয়ে বিগত দিনে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু তারপরও তো তাকে আল্লাহ তায়ালা সম্মানিত করেছেন। আর যারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদেরকে তো ওনার (আজহারী) চোখের সামনে আল্লাহ তায়ালা লাঞ্চিত করেছেন। সুতরাং আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ যে, আলেমদেরকে অপমানিত-লাঞ্চিত করে কেউ ভালো থাকতে পারেনি। কেননা, আল্লাহ তায়ালা তার দ্বীনের আলেমদেরকে হেফাজত করার দায়িত্ব নেন। একইসঙ্গে জালেমদেরকে অপমানিত-লাঞ্চিত করারও দায়িত্ব নেন।

সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়ত ইসলামীর তরুণ এই নেতা বলেন, আজহারী গোটা মুসলিম উম্মাহর সম্পদ। আপনারা দেখেছেন, তিনি বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় জায়গায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। ভবিষ্যতেও পাবেন। সুতরাং তাকে নিয়ে যেন আমরা কেউ কোনো বিতর্কিত অবস্থা তৈরি না করি। 

ড. মাসুদ আরও বলেন, আজহারী তো এই দেশের নাগরিক। তার তো কোনো একটা দলের প্রতি সমর্থন থাকতেই পারে। এটা তো একটা গণতান্ত্রিক দেশ। ধরেন, তিনি যদি এখন বিএনপিকে সমর্থন করেন তাহলে কী জামায়াত ইসলামী বলবে যে, আপনি এখন আর মাহফিল করতে পারবেন না!

তার মতে, পবিত্র কুরআনে তো সব কথাই বলা আছে। সেই কথার মধ্যে যদি অর্থনীতি থাকে তাহলে তিনি অর্থনীতির কথা বলবে। একইভাবে সমাজনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতির কথা আসলেও সেগুলো তো বলতে হবে। একজন আলেম তো জেনে-বুঝে সত্য কথা লুকাতে পারে না। তাহলে তো সে রাসুল (স.) হাদিস অনুযায়ী বোবা শয়তান হয়ে যাবে।

এই সত্যগুলোই তিনি জাতির কাছে পরিস্কার করছেন। যদি এটা জাতি গ্রহণ না করেন তাহলে তো ওনার মাহফিলে এতো লোক আসার কথা না। ওনার কথা তো শুনতে চায় মানুষ।

আজহারীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে নিয়ে তিনি বলেন, ড. মিজানুর রহমান আজহারী ভাইকে আমি ভীষণভাবে পছন্দ করি; আমার মনে হয় যে, আমার চেয়েও হয়তো উনি আমাকে বেশি পছন্দ করেন। কেননা, আমি ওনাকে মাঝে মাঝে ছোট ছোট আবদার যখন যেটা করি, খুব কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমার সেসব অনুরোধ রাখেন। কি জন্য করেন উনিই হয়তো এটা ভালো বলতে পারবেন।

তবে আমি এতটুকু বলতে পারি- ইসলামপন্থি মানুষ হিসাবে আমি যেমন ওনাকে ভালোবাসি; তিনিও সে কারণেই আমাদেরকে ভালবাসেন। এখানে আর অন্য কোনো কারণ নেই। কারণ একটাই, আমরা দুনিয়াতে যেমন চলাফেরা করি; ঠিক তেমনই পরকালেও জান্নাতে আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই।

আজহারীর পটুয়াখালিতে মাহফিলের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার আবদার ছিল বাউফলে। কারণ, বাউফলবাসী আমাকে খুব করে ধরে ছিল যেন আজহারীকে সেখানে নিয়ে আসি। তবে বাউফলের স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনার পর ঠিক করা হয় যে, বাউফলবাসীর আবদারের প্রেক্ষিতে পটুখালিতে তিনি মাহফিল করবেন।

অনেক ইসলামিক বক্তরাও তো আজহারীর সমালোচনা করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখেন একজন নবীও কিন্তু তার জমানায় সকলের কাছে সমানভাবে সম্মানিত হননি। সেখানে তিনি সব মানুষের কাছে তিনি সমানভাবে সম্মানিত হবে, এটা তো বাস্তব নয়। আপনি ভালো কিছু করবেন এটা অনেকের কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। সত্যের এটা হলো একটা বৈশিষ্ট্য যে, বিভিন্ন চেলেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। আর ড. মিজানুর রহমান আজহারী সেটা প্রমাণ করতে পেরেছেন। এইজন্য এদেশের তরুণ সমাজ তাকে ভালভাবে গ্রহণ করেছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম