বিভাজন সৃষ্টি হলে জুলাই অভ্যুত্থান বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে: সাকি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সন্দেহ বা বিভাজন সৃষ্টি হলে জুলাই অভ্যুত্থান বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথ উদ্যোগে এক গণসংলাপে তিনি এ আশংকা প্রকাশ করেন।
দক্ষিণের আহ্বায়ক আলিফ দেওয়ান ও উত্তরের আহ্বায়ক মনিরুল হুদা বাবনের সভাপতিত্বে এ গণসংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা-চৈতন্য, তাকে ধারণ করার জন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আগামী পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই আকাঙ্ক্ষা যাতে বাস্তবায়িত হয়, তার জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখুন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই- আপনাদের কাজ এই সমস্ত প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা। এমন কোনো ধারণা যাতে তৈরি না হয়, এমন কোনো অবস্থা যাতে তৈরি না হয়, যাতে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হয়।
রাজনৈতিক শক্তিসমূহের মধ্যে ঐক্য ও আস্থা ধরে রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ মন্তব্য করে সাকি বলেন, বিরাজনীতিকরণ, কাউকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া, এ ধরনের একটি ইতিহাস বাংলাদেশে আছে। বাংলাদেশের জনগণ অভ্যুত্থান করে এ সমস্ত ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির কবর রচনা করেছে। কাজেই এদেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি বাস্তবায়ন হতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, সরকারকে সমস্ত শক্তির মধ্যে এই জায়গা নিশ্চিত করতে হবে। এই আস্থা তৈরি করতে হবে যে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে এবং সেটা সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাবে। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে, ন্যুনতম জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশে আগামীর রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা হবে। সেই জায়গাটা আমরা সবাই মিলে তৈরি করতে চাই।
জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা গণসংহতি আন্দোলন, আমাদের গণতন্ত্র মঞ্চ, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ন্যূনতম ঐক্য তৈরি করতে চাই। যাতে করে এই রাজনৈতিক রূপান্তর জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারে। আপনাদের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের সর্বত্র গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তুলুন।
তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আমাদের নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, আমরা পরিষ্কার জবাবদিহিতা চাই। সরকারের দিক থেকে উদ্যোগ চাই যে, এ সমস্ত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থের ভিত্তিতে সমস্ত চুক্তি, সমস্ত সম্পর্কে যেন নবায়ন করা হয়।