জয়পুরহাটে রাষ্ট্রদ্রোহের এক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালাস পেয়েছেন। বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর এ রায় ঘোষণা করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে আদালত চত্বর থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়।

জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলজার হোসেনের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর ঘুরে পুনরায় আদালত প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয় । 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আদালত চত্বরে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহবায়ক গোলজার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা প্রধান, জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির (জেলা বার) সাধারণ সম্পাদক ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহিনুর রহমান শাহিন, জয়পুরহাট সদর থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হেনা কবির, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান উজ্জ্বল প্রধান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ বাংলাদেশ  ছাত্রলীগ জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর জয়পুরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনে বিএনপি আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার’ ও ‘পাকবন্ধু’ বলে কটূক্তি করেন তারেক রহমান, যা ২০১৪ সালের ১৭ডিসেম্বর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ পাঠ করে বাদীর এক কোটি টাকার সম্মানহানি ঘটেছে। বাদী বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ায় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ২২ডিসেম্বর জয়পুরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছিলেন।

জয়পুরহাট জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহিনুর রহমান শাহিন ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হেনা কবির জয়পুরহাটে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা মামলা থেকে তারেক রহমানের খালাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলার চার্জ গঠনের জন্য যে সব আলামতের প্রয়োজন ছিল, পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তা জব্দ না হওয়ায় এবং মামলার নথিতে কোনো আলামত ও মামলার চার্জ গঠনের মতো কোনো উপাদান না থাকায় মামলা থেকে তারেক রহমানকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।