Logo
Logo
×

রাজনীতি

উত্তরায় জামায়াতের বিজয় র‌্যালি

‘সাঈদীর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব, হাসিনা এখন মামুর বাড়িতে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম

‘সাঈদীর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তব, হাসিনা এখন মামুর বাড়িতে’

আওয়ামী-বাকশালীরা মহান স্বাধীনতা ও বিজয়কে হাইজ্যাক করায় আমাদের জন্য স্বাধীনতা পুরোপুরি অর্থবহ হয়ে ওঠেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাই জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্টপোষক। তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবে প্রমাণিত হয়েছে, হাসিনা এখন মামুর বাড়িতে অবস্থান করছে।

তিনি সোমবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা জোনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক বিশাল র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

র‌্যালির পর আজমপুরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উত্তরা পশ্চিম অঞ্চল পরিচালক ও মহানগর নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। বিজয় র‌্যালিটি উত্তরা ১১ চৌরাস্তা জমজম টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে উত্তরা আজমপুর এসে শেষ হয় এবং পরে এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়। 

র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর মোহাম্মদ আব্দুর রহমান মূসা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, মহানগর সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন, মহানগর উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি এইচ এম আতিকুর রহমান, উত্তরা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম প্রমুখ।  

সেলিম উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ব্যক্তিগত, দলীয় ও পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করতেও কসুর করেনি। তারা পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও নিজেদের আদর্শ বিরোধীদের স্বাধীনতা বিরোধী আখ্যা দিয়ে অপরাজনীতি করেছে। তারা বীরোত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে রাজাকার বলতে  কসুর করেনি। বাকশালীরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে রাজাকারের সঙ্গে জঙ্গি তকমা লাগিয়েছিল। অথচ শেখ হাসিনাই ছিলেন জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তারা নিজেরা রাজাকারের তালিকা করে ১০ হাজার স্কোর অর্জন করে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে।  তারা নিজেরাই জামায়াতে কোনো রাজাকার খুঁজে পায়নি। তাই জঙ্গিবাদের প্রতিভূদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে রীতিমত ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত করেছে। শেখ হাসিনা দেশের মেধাবীদের রাজাকারের নাতি-পুতি আখ্যা দেওয়ায় সেদিনই তার নৈতিক পতন হয়েছিল। তার উচিত ছিল বাস্তবতা মেনে নিয়ে  পদত্যাগ করা। আল্লামা সাঈদী (রাহি) ফ্যাসীবাদের সম্পর্কে যেসব ভবিষ্যৎবাণী তার সবই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। তার কথামত শেখ হাসিনা এখন মামুর বাড়ীতেই অবস্থান করছেন। 

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম