জামায়াতের শীর্ষ নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ এএম
জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামসহ সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নামের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে বন্দিদের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
শুক্রবার আল ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ২০২৫-২০২৬ সেশনের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশনের তিনি এ দাবি করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, কেউ কেউ গত ৫ আগস্ট থেকে নিজেরা ক্ষমতায় আছে বলে মনে করে। তাদের চিন্তা-চেতনা এমন- ক্ষমতায় হয় তোমরা না হয় আমরা। আর কেউ এদেশ পরিচালনা করতে পারবে না। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে মানুষের আস্থা ততই তাদের প্রতি কমছে। কারণ তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে মানুষ বিরক্ত।
শুরার সদস্যদের উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা পেতে হলে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এমনভাবে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে যেভাবে শহিদ আমিরে জামায়াত মতিউর রহমান নিজামী, শহিদ সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মতো আপসহীন ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এক আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় করা যাবে না। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েম করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ডে ক্রমেই মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংগঠন, সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেওয়ার মত যোগ্য নেতৃত্ব রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর। বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গঠনে মানুষ জামায়াতে ইসলামীর উপর আস্থাশীল।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ২০২৫-২০২৬ সেশনের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রথমে মজলিসে শূরার প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত ২০৬ জন সদস্যকে (নারী-পুরুষ পৃথকভাবে) শপথ পাঠ করানো হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ৪১ জনের শপথ শেষে ২০২৫-২৬ সেশনের কর্মপরিষদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। পরে নব-নির্বাচিত নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ শপথ গ্রহণ করেন।
এছাড়াও সহকারী সেক্রেটারি হিসেবে মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আবদুল মান্নান ও শামসুর রহমান শপথ পাঠ করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সব দায়িত্বশীলকে শপথ পাঠ করান মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির রাজধানী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যেকোনো পর্যায়ের দায়িত্বশীল সংগঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামী আন্দোলন যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ করেছেন। এই আন্দোলন নবীয়ানা আন্দোলন। এই আন্দোলনে আমরা যারা শরিক হতে পেরেছি এটা মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও নিয়ামত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে বর্তমানে যে পর্যায়ে উপনীত হয়েছে মানুষ এখন জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে পজিটিভ আলোচনা করছে। সাধারণ মানুষ মনে করে, সব দেখা শেষ এবার ইসলামের বাংলাদেশ।