Logo
Logo
×

রাজনীতি

লক্ষ্মীপুর-৪ আসন: রবকে ঘিরে ফুরফুরে জেএসডিসহ বিএনপির একাংশ

Icon

শাহরিয়ার কামাল, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পিএম

লক্ষ্মীপুর-৪ আসন: রবকে ঘিরে ফুরফুরে জেএসডিসহ বিএনপির একাংশ

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে আগাম নির্বাচনি হাওয়া বইছে। এটি প্রবীণ রাজনীতিক ডাকসুর সাবেক ভিপি স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রবের আসন বলে খ্যাতি রয়েছে। এ আসন থেকেই আ স ম আব্দুর রব ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দায়িত্ব পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়েরও।

সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে আ স ম রবকে স্পেস প্রদান মর্মে পাঠানো চিঠিকে ঘিরে তৈরি হয় নতুন আমেজ। জেএসডি ও বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর আবারও এই জাতীয় নেতাকে পেতে যাচ্ছেন- এমন খবরে রামগতি ও কমলনগরের সাধারণ মানুষের মধ্যেও দেখা গেছে অভিন্ন উদ্দীপনা।

এখানকার এক সময়ের ‘জনপ্রিয়’ এ দলটির নেতারা সংগঠনকে গোছাতে এখন ব্যাপক কাজ করছেন। এতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া কর্মী-সমর্থকরা পুনরায় ‘জাগ্রত’ হতে শুরু করেছেন। যেটির প্রতিফলন দেখা যায় দলটির এবারের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে।

স্থানীয় চরকাদিরা ইউনিয়ন জেএসডির সহ-সভাপতি মোখলেছুর রহমান ধনু বলেন, ঐতিহ্যবাহী দলটির নেতাকর্মীরা এখনো আ স ম আবদুর রবকে ঘিরে স্থানীয় রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ। তার আমলের ভুলুয়া নদী খননসহ নানা উন্নয়ন অবকাঠামো নিয়ে মাঠপর্যায়ের প্রবীণ লোকদের মধ্যে ইতিবাচক বলাবলি চলছে। বিএনপির সমর্থনে জোটবদ্ধ প্রার্থী হলে জাতীয় এই বীরের জয়লাভ সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন তিনি।

জাতীয় যুব পরিষদ কমলনগর উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক এম এহসান রিয়াজ বলেন, এ আসন থেকে আ স ম আবদুর রব এককভাবে তিনবার এমপি নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হয়ে তিনি মন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা হন। মেঘনা নদীর ভাঙন রোধে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে উদ্যোগ নেন তিনি। এলাকায় বিদ্যুতায়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, নদী বাঁধ, কলেজ সরকারিকরণসহ স্থানীয় উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তার ব্যক্তি ইমেজে রয়েছে বিশাল ভোটব্যাংক। বিএনপির বড় একটি অংশ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে আ স ম রবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে আগাম নির্বাচনি তৎপরতায় অংশ নিচ্ছেন।

এদিকে কমলনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশারেফ হোসেন খোকন ও রামগতি উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মূনীর চৌধুরী শামীম জানান, রাজনৈতিক দলের একজন কর্মীর দায়িত্ব হচ্ছে, দল যে সিদ্ধান্ত দিবে সেই অনুযায়ী কাজ করা। এখন দল আ স ম আব্দুর রবের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা বৃহৎ স্বার্থে দিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব কিছু বুঝেই এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সুতরাং দলের নিবেদিত কর্মী হিসেবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করার সুযোগ তাদের নেই। অতীতেও তারা দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করেছেন, ভবিষ্যতেও তাই করবেন।

জেএসডি কমলনগর সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেবের মন্তব্য, স্বৈরাচার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপি ও জেএসডি একসঙ্গে কাজ করেছে। এ দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে আ স ম আব্দুর রবের সক্রিয় ভূমিকা থাকায় রাজনৈতিক শিষ্টাচার হিসেবে বিএনপি এ চিঠিটি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রবকে তার নির্বাচনি এলাকা লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য বিএনপির কেন্দ্র থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটি লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর প্রেরণ করা হয়।

লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অবগত করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম