জয়নুল আবদিনের প্রশ্ন
এখনো কেন শেখ পরিবারের একজনকেও গ্রেফতার করা হলো না
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
‘এখনো কেন শেখ পরিবারের একজনকেও গ্রেফতার করা হলো না? গ্রেফতার করেন আইনের আওতায় আনেন।’
ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি মসিউর রহমানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এমন আহবান জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, যিনি বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, সেই শহিদ জিয়াকে কতভাবে অপমান করেছে শেখ পরিবার। অথচ তাদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি। যারা ব্যঙ্গ করেছেন- শেখ হাসিনা শেখ সেলিম, দেখে যাও আজ ড. ইউনূস কোথায়। যে এসএসএফ তোমাদের (শেখ পরিবার) পাহারা দিয়েছে তারা এখন ড. ইউনূসকে পাহারা দিচ্ছে। লিফট বন্ধ করে যে ইউনূসকে পায়ে হাঁটিয়ে ১৪ তলায় উঠিয়ে ছিলে সেই ড. ইউনূস এখন বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা আছি ড. ইউনূস।
স্বৈরাচার সাবেক সরকারের অপকর্মের কথা উল্লেখ করে জয়নুল আবদিন বলেন, শেখ হাসিনা কথা কথায় বলেছে দেশটা নাকি তার বাবার। শেখ হাসিনা পালায় না। এখন কোথায়? বাবা শেখ মুজিব গেছে কাফনের কাপড় নিয়ে- শেখ হাসিনা পালিয়েছে সুটকেস নিয়ে। ক্ষমা চিরদিনের জন্য নয়। আল্লাহ অন্যায়কারীকে ক্ষমা করে না। ১৬ বছর বিএনপিসহ বিরোধীদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন ,গুম, খুন করা হয়েছে। আজো প্রশাসনে শেখ হাসিনা প্রেতাত্মারা বসে আছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সাবেক হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয় অর্জন করবে এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান। দেশে বন্ধ হবে গুম খুন, নির্যাতন, আয়না ঘরের রাজনীতি। শান্তিতে থাকবে মানুষ।
শুক্রবার ঝিনাইদহ জেলা শহরের শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সভাপতিত্ব করেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মরহুম মসিউর রহমানের বড় ছেলে ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবুসহ দলীয় নেতারা। তবে ওই সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি এমএ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনাসহ প্রথমসারির নেতারা উপস্থিত হননি।
এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে জয়নুল আবদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব হয়েছে। দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এ সময় নিজেদের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখুন। ঘনিষ্ঠ বন্ধু মসিউর রহমানের মতো নেতৃত্বের বড় দরকার ছিল।
মসিউর রহমান ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ঝিনাইদহ-২ আসনে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর ৬৯ বছর বয়সে (জেলা শহর) নিজ বাড়িতে হার্ট-অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তিনি।
স্মরণ সভা শেষে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ জামে মসজিদের ইমাম মওলানা দেলোয়ার হোসেন। এর আগে বাদজুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।