যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করে নির্বাচন দিন: দুদু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৭ এএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপিসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র-জনতার সমর্থন আছে আপনাদের প্রতি। সেই সমর্থনকে অবজ্ঞা করবেন না।
তিনি বলেন, যত দ্রত সম্ভব। যা সংস্কার করার দরকার। সংস্কার করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করুন।
সোমবার ২১ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) উদ্যোগে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো এবং ছাত্র-জনতা হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, বাজারের অবস্থা ভালো না। সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও তেমন ভালো না। অথচ এই সরকারের প্রথম কাজ ছিল এসব নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। সেই উদ্যোগ, সেই কাজ আমরা লক্ষ্য করছি না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নানান দিক থেকে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। আপনারা সংস্কার করুন। তবে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার এর হাতে ক্ষমতা ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল আপনাদের সমর্থন করছে। আপনাদের প্রতি দেশবাসীর সমর্থন আছে। আপনাদের প্রতি ছাত্রদের সমর্থন আছে। এই সমর্থনকে অকার্যকর করবেন না। অবজ্ঞা করবেন না।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিক কৃষক জনতা যদি না বাঁচে তাহলে সরকার থাকা আর না থাকা সমান কথা। সেইজন্যে যারা দেশের ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
দুদু বলেন, যাদের হাতে বাংলাদেশ পড়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হাতে। আমরা চোর উৎপাদনের হাতে পড়েছিলাম। শেখ মুজিব জীবিত থাকা অবস্থায় তার ছেলে ব্যাংক ডাকাত হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। অপশাসনের কি ভয়ংকর পরিণতি তা আমরা দেখেছি। তার দুটি কন্যা ছিল তারা এত বড় লুটেরা, খুনি যে ইতিহাসের ভয়ংকর অধ্যায় হিসেবে থাকবে। তারা লুকিয়ে থেকে পালিয়ে গিয়ে রাজনীতির কথা বলে, তখন আমার মনে প্রশ্ন থাকে রাজনীতির অর্থটা কি।
তিনি বলেন, এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ গত তিনটা নির্বাচনে ভোট দিতে পারে নাই। ভোট দেওয়ার আশায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় ফ্যাসিবাদ হাসিনাকে বিদায় করেছে তারা। তাই কবে কোন দিন নির্বাচন দিবেন দিন তারিখ ঠিক করে কাজ শুরু করেন। তাহলে একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, এনডিপির সভাপতি কারী আবু তাহের, জাগপার সহসভাপতি আব্দুল ওহাব প্রমুখ।