নির্বাচন বিলম্বিত হলে আগাছা জন্ম নিতে পারে: গোলাম পরওয়ার
যাত্রাবাড়ী (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন/যুগান্তর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলসহ সব পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিদায় নিতে হবে। কেননা বছরের পর বছর নির্বাচন বিলম্বিত করলে আগাছা জন্ম নিতে পারে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হতে পারে।’
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যাত্রাবাড়ির শনিরআখড়া বধূয়া কমিউিনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২৫ শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিময় ও প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাা বলেন।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আমীর মো.নুরুল ইসলাম বুলবুল এর সভাপতিত্বে অনষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। রাজনীতি করতে হবে দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে, বাইরের কারও সাহায্য নিয়ে নয়।’
তিনি আরও বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময় ১৮ কোটি মানুষকে যারা মুক্ত করেছেন আমরা তাদেরকে স্যালুট জানাই, তাদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। যারা আহত হয়েছেন, হাত হারিয়েছেন, পা হারিয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, আমরা তাদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তাদের সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করছি।
‘১৫ বছরের অনেক মজলুমের চোখের পানির ফসলই হচ্ছে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান। ১৫ বছর আর মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের দুই বছর এই ১৭ বছরের জুলুম-নির্যাতনের পরও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষের প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে, শুধুমাত্র আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস আর আস্থার কারণে’-যোগ করেন গোলাম পরওয়ার।
অনষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, শাহজাহান খান, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা বায়জিদ, মিজানুর রহমান মালেক, মাহফুজুর রহমান, মাওলানা ইমাম হোসাইন, জুনায়েদ আহমেদ, অ্যাডভোকেট শাফিউল আলম, মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সন্তান ও স্বজনরা স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুরো অনুষ্ঠানের লোজনের চোখ থেকে টপটপ করে পানি ঝরতে দেখা যায়।