গণঅভ্যুত্থানের স্প্রিট ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে: শিমুল বিশ্বাস
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
গণঅভ্যুত্থানের স্প্রিট ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে: শিমুল বিশ্বাস
বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী ও শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতন হলেও তার অনেক সুবিধাভোগী ও সহযোগী ছদ্মবেশে জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্প্রিট ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে।
সোমবার বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের তোপখানা রোডস্থ কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ও সন্মিলিত শ্রমিক পরিষদভুক্ত ২১টি শ্রমিক সংগঠনের এক জরুরি যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য অনুপ্রবেশ করার অপচেষ্ঠা করছে, তাদের অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত বামপন্থী নেতা কমরেড টিপু বিশ্বাস, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, প্রচার সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, এসএসপি’র মোশারফ হোসেন, মোশারেফ হোসেন মন্টু, হারুনুর রশিদ, আব্দুর রহমান, মীর মোফাজ্জল হোসেন, সোহেল সিকদার, রফিকুল ইসলাম পথিক, বাবুল বিশ্বাস, নেক মোহাম্মদ, বাচ্চু ভূইয়া, সোহেল সিকদার, সোহেল রানা সম্পদ, সাইফুল ইসলাম, মওলানা ওমর ফারুক, কাইয়ুম হোসেন, দেবাশীষ বিশ্বাস, ফিরোজ মিয়া, জামিল হোসাইন, একেএম আওয়াল, শ্রমিক দলের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় উল্লেখ করা হয় বিবিএস’এর সরকারি হিসাব মতে বাংলাদেশে ৭ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক কর্মচারী।
সভায় বিবিএস’র হিসাবমতে সব শ্রমিক কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য, অসংগঠিত শ্রমিক কর্মচারীদের সংগঠিত করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শিল্প কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা ও শ্রমিক কর্মচারীদের নায্য মজুরি প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল ও সন্মিলিত শ্রমিক পরিষদ ভুক্ত ২১টি শ্রমিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য দৃঢ প্রত্যয় ঘোষণা করে।
সভায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নিহত শ্রমিক কর্মচারীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসার জন্য রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতি উদ্বাত্ব আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ফ্যাসিবাদের সকল চিহ্ন উচ্ছেদ করার জন্য সরকারকে সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করে গনতন্ত্র সুসংহত করার জন্য নির্বাচিত সরকার গঠনের আহব্বান জানানো হয়। সভায় শিল্পকারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা ও শ্রমিক কর্মচারীদের নায্য মজুরী আদায়ের জন্য শিল্পাঞ্চল, কল-কারখানা সংশিষ্ট বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক কর্মচারীদের সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।