আ.লীগ নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল করতে হবে: রাশেদ খান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ পিএম
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানে হাজারও জনতা শহিদ হয়েছে, অগণিত মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, নিবন্ধন বাতিল এবং আইন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় গাজীপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আমরা আবার ২য় বারের মত স্বাধীন হয়েছি। এবার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তবে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে আগামী ১০ বছর ঐক্য ও সংহতির ভিত্তিতে সকল দলের অংশগ্রহণে সরকার চালাতে হবে। যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা ছিল জাতীয় সরকার ও রাষ্ট্র সংস্কার। রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে সেই সুযোগ এসেছে। কিন্তু সেটি করা না হলে জনগণ আমাদের ক্ষমা করবে হবে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে হাজারও জনতা শহিদ হয়েছে, অগণিত মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এবং গণহত্যার দায়ে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ, নিবন্ধন বাতিল এবং আইন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এগুলো করতে না পারলে শহিদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। গাজিপুর থেকে শুরু হোক রাষ্ট্র সংস্কারের আওয়াজ। ছড়িয়ে পড়ুক সমগ্র দেশে। গাজীপুরকে মাফিয়া,চাঁদাবাজ, দখলদার মুক্ত করতে হবে। এই লক্ষ্যে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদসহ সকল রাজনৈতিক দল একত্রে কাজ করুন। একতা আমাদের সফলতা এনে দিবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নইলে কিন্তু আওয়ামী লীগ বিভেদের সুযোগ নিবে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান বলেন, আমরা ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের লড়াই শুরু করেছি। এই লড়াই ২০২৪ এ এসে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের চেতনা আমাদের ধরে রাখতে হবে। শহিদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাদের রক্তের বিনিময়ে সে স্বাধীনতা, এই স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
মুমিন আকন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শেষে মো. রাশেদ খান গাজীপুর মহানগর ও জেলা কার্যালয় উদ্বোধন ও নিবন্ধন পাওয়ায় বিজয় র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে শ্রমিক অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম ও ছাত্রনেতা নাইম হাসানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মুবারক হোসেন সরকার,গণঅধিকার পরিষদের সহ-দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া, গাজীপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইন্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম,গাজীপুর জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি রবিন হোসেন প্রমুখ।