বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ওই দিন থেকে সারা দেশে ছাত্র–জনতার তোপের মুখে পড়েন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পরে অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংগঠনটি। ঘটনার কয়েক দিন পর থেকে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কিছু ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করা হচ্ছে। সেখানে এক পেস্টে নেতাকর্মীদের ‘দলীয় সব খবর এবং তথ্য পাঠাতে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেওয়া ওই পোস্টে বলা হয়, ‘আপডেট আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ +1 (917) 5699327 এই নম্বরে দলীয় সব খবর এবং তথ্য পাঠাতে অনুরোধ করছি।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নম্বরটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের আগের নম্বরটি ছিল বাংলাদেশি—০১৩১২১১১৯৭১। গত ২০ আগস্ট দেশীয় হোয়াটসঅ্যাপে নম্বরে যোগাযোগ করে।
গণমাধ্যম থেকে ওই নম্বরে কল দিয়ে ২১ আগস্টের কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে। জবাবে ওই নম্বর থেকে ফিরতি বার্তায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যাবে বলেও জানানো হয়। তবে বিপ্লব বড়ুয়াকে হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যায়নি সেদিন। মঙ্গলবার পুরোনো নম্বরে আর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট থেকেই আত্মগোপনে দলটির নেতাকর্মীরা। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সরকার পতনের পর কয়েক দিন ফেসবুক ও এক্স হ্যান্ডলে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে তিনিও দীর্ঘদিন ধরে নীরব রয়েছেন। সর্বশেষ গত সোমবার তিনটি সংবাদ শেয়ার করেন জয়।