হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সাদেক খান গ্রেফতার
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
ফাইল ছবি
কোটা সংস্কারের দবিতে ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ট্রাক ড্রাইভার হত্যার ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার এক মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান।
শনিবার রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওবায়দুর রহমান যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, ২০১৮ সালে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের ওপর হামলার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানকে গ্রেফতার হয়েছেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ২২ আগস্ট হওয়া এক হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সাদেক খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
থানা পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ট্রাক ড্রাইভারের নাম মো. সুজন। গত ২০ জুলাই মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে গুলিতে নিহত হন মো. সুজন। এ ঘটনায় তার ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২২ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ২১ নম্বর আসামি সাদেক খান। একই মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
উল্লেখ্য, সাদেক খান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৭ সালে সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সর্বকনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তৎকালীন ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে চারবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরের পুরস্কারও পেয়েছিলেন। তিনি তখন দুবার ভার প্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
সাদেক খান ১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সাদেক খান ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।