‘অন্তর্বর্তী সরকার জোর করে ক্ষমতা নেয়নি, জাতি তাদের দায়িত্ব দিয়েছে’
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ততটুকু সময় দেওয়া উচিত, যতটুকু সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র একটি শৃঙ্খলায় আসবে এবং নির্বাচনের জন্য একটি সমতল পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সময় না দিলে তারা একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে পারেবেন না। তারা অত্যন্ত স্বচ্ছ। দীর্ঘদিন ক্ষমতা আকড়ে রাখবেন না। যথাসময়েই নির্বাচন দেবেন। তারা কিন্তু জোর করে ক্ষমতা নেননি। জাতি তাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছে।
শনিবার সকালে হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ১৫ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, নদী-নালা, খাল-সাগর সবই আল্লাহর সৃষ্টি। আল্লাহর স্বাভাবিক সৃষ্টিতে যখনই বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয় তখনই বিপর্যয় অনিবার্য। এগুলোতে বাঁধ দিতে হবে কেন। আন্তর্জাতিক নদীর কিছু নিয়ম-কানুন আছে। এ বাঁধ দেওয়াই তো অন্যায়। এ বাঁধ দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে এর সুবিধা নেয় এবং বর্ষায় পানি জমিয়ে হঠাৎ ছেড়ে দেয়। সৎ প্রতিবেশী হিসেবে এটি আমরা তাদের কাছে আশা করি না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা দেশের মানুষের ওপর, ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন করেছে। তাই বিচারের ভয়ে তারা পালাতে গিয়ে এখন খালে-বিলে মাছের মতো ধরা পড়ছে।
সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, সোনা মানিক ভারতে পালাতে গিয়ে সিলেটের সীমান্তে ধরা পড়েছে। ৬০/৭০ লাখ টাকাও নাকি তার কাছে পাওয়া গেছে। এভাবেই তারা ধরা পড়বে।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে নির্বাহী আদেশে। আওয়ামী লীগ সরকারই তো অবৈধ। তাদের নির্বাহী আদেশ, কার্যক্রম সবই তো অবৈধ। আল্লাহর বিচার জামায়াতকে নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশের মাত্র ৪ দিনের মাথায় আমরা নিষিদ্ধ না, বরং তারাই নিষিদ্ধ। সেই বিচারের ভার আমি দেশবাসীর কাছেই দিলাম। নিবন্ধনের বিষয়টি আদালতের রায়ের বিষয়। আমরা আইনগতভাবেই সেটা মোকাবিলা করব।
আর্থিক সহায়তা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের জন্য দোয়া মাহফিল উপলক্ষে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের জেলা আমির আব্দুর রহমান। সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমেদের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগরী আমির মো.ফখরুল ইসলাম, সিলেট মহানগরী সেক্রেটারি মো. শাহজাহান আলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য শাহীন আহমদ খান। পরে প্রধান অতিথি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ১৫ জনের পরিবারের সদস্যদের ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেন প্রধান অতিথি।