বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল আন্তর্জাতিক একটি ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের মূল কী, এটা জানতে না দিয়ে এটাকে আওয়ামীকরণ করা হয়েছিল। এটা ছিল শেখ হাসিনা ও তার প্রভুদের চক্রান্ত। আমরা এই চক্রান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা জানতাম জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মুল করার জন্য শেখ হাসিনা এবং তার প্রভুরা এটা করেছিল।

বুধবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে জিপিও মোড় ঘুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। 

রিজভী বলেন, যারা শেখ হাসিনার অনুশাসনের দোসর, তারা কীভাবে প্রশাসনের মূল জায়গায় টিকে থাকে? যারা বঞ্চিত ছিল তাদের দ্রুত পদোন্নতি দিয়ে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে না কেন? এখনও এক গভীর চক্রান্ত চলছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাই যত দ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নিন। কারণ শেখ হাসিনার ভূত, আত্মা এখনও তার সাজানো প্রশাসনের মধ্যে রয়েছে। প্রশাসন ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে পুলিশ থেকে তার ভূতকে সরাতে হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশকে কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ তাদের হাতের মুঠোয় রাখতে চায়। কিন্তু এটা সম্ভব নয়। এক দেশের কাছ থেকে জীবন দিয়ে, যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে অন্য রাষ্ট্রের কাছে বন্দি হতে নয়।

বিক্ষোভ মিছিলে যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মোন্না, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল হোসেন তারেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এদিকে তৎকালীন সরকারের গণহত্যা, অপর্কীর্তি, গুম-খুনের বিভিষিকা, বেপরোয়া মামলার কারণে শেখ হাসিনরা বিচারের দাবিতে নয়াপল্টন বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজে কয়েক হাজার নেতাকর্মী এই বিক্ষোভ করেন। সংগঠনের সভাপতি এস এম জিলানী সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতা ইয়াছিন আলী, ফখরুল ইসলাম রবিন, ডা. জাহেদুল কবির, মো: রফিকুল ইসলাম, আবদুল কুদ্দুস, এমজি মাসুম রাসেল, সরদার নুরুজ্জামান, মনিরুল আলম চৌধুরী, নাসিরুদ্দিন মোল্লা, নাজমুল হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন জহির উদ্দিন তুহিন, সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদার প্রমুখ।