বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, কিছু দুষ্কৃতকারী, কিছু নব্য বিএনপি এ ধরনের অপকর্ম করছে। তারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপিকে বদনামের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ লোকগুলোই লুটতরাজ, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।

চাঁদাবাজি, দখলদারি, লুটতরাজের বিরুদ্ধে বিএনপির জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে আমিনুল বলেন, দুষ্কৃতকারী বিএনপির লোক হলে তাকেও পুলিশে দিতে হবে। 

বুধবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকার পাশে সাদিক অ্যাগ্রোর নামে দখলকৃত সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে গিয়ে আমিনুল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

এ সময় তিনি স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যারা নব্য বিএনপি হিসেবে বিএনপির বদনামের চেষ্টা করছেন, তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে এ ধরনের কাজ কেউ করতে না পারেন। আর কেউ করার চেষ্টা করলে তাকে আটক করে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। তবে কেউই আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। 

সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়ে আমিনুল হক বলেন, এটা যেহেতু সরকারি জায়গা, সরকারই এর দায়িত্ব নেবে। এখানে কোনো রকম প্রতিষ্ঠান, কোনো স্থাপনা তৈরি করা যাবে না। যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে, এটা সম্পূর্ণ সরকার পরিচালনা করবে। 

নগর বিএনপির এ নেতা বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে এবং সেই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা একটি স্বচ্ছ ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করতে চাই। আমরা চাই না বাংলাদেশে আর কোনো স্বৈরাচারের আর্বিভার ঘটুক বা স্বৈরাচারের উৎপত্তি হোক। সেই লক্ষ্য নিয়েই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা চেষ্টা করছি। 

তিনি বলেন, যেখানে চাঁদাবাজির কথা শুনছি- লুটতরাজের কথা শুনছি, সেখানেই স্বশরীরে আমরা যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের প্রতিটা থানায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, এ ধরনের কোনো চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব চলবে না। 

আমরা একটা দুর্নীতিমুক্ত-স্বৈরাচারমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে চাই উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশে আর কোনো মায়ের বুক খালি হবে না। কোনো ছাত্রভাইকে গুলি করে হত্যা করা হবে না। কোনো মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হবে না, গুম করা হবে না। এ ধরনের একটি স্বাধীন বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে চাই। এজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

আমিনুল হক এরপর সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর উত্তরের মোহাম্মদপুর মিরপুর ও পল্লবীসহ বিভিন্ন থানায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেন।

অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর উত্তরের থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।