সরকার উৎখাতে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হাত দেখছেন জয়
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
ছবি সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যমে ঢালাওভাবে বক্তব্য দিয়ে আসছেন হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
এবার জয় দাবি করেছেন, আওয়ামী সরকার উৎখাতের পেছনে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তার বক্তব্যের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
গত রোববার ভারতের ইকোনমিক টাইমস পত্রিকা এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকার উৎখাত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে মনে করেন শেখ হাসিনা। হাসিনার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়। যা তিনি সায় দেননি।
সরকার পতনের পেছনে মায়ের মতো বিদেশি শক্তির সংশ্লিষ্টতা দেখছেন সজীব ওয়াজেদ জয়ও। যুক্তরাষ্ট্রের নাম মুখে না বললেও বিদেশি সংস্থার দিকে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা এর পেছনে জড়িত ছিল। কারণ, ১৫ জুলাই থেকে অনেক আন্দোলনকারীর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গত ১৫ বছরে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সফলতার কারণে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। একমাত্র কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাই বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার ও আন্দোলনকারীদের কাছে সরবরাহ করতে পারে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ছাত্র-জনতা নিহত এবং গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে অসহযোগ আন্দােলন শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দ্রুত তা রুপ নেয় সরকার পতনের এক দফা দাবিতে। আন্দোলন দমাতে ইন্টারনেট বন্ধ করে ব্যাপক দমন পীড়ন এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের পথ বেছে নেয় প্রশাসন। এতে দেশজুড়ে প্রাণহানি হয় তিন শতাধিকেরও বেশি মানুষের। দ্বিতীয় দফায় কারফিউ জারি করেও শেষ রক্ষা হয়নি আওয়ামী লীগের।
সজীব ওয়াজেদ জয় মনে করেন, কোটা নিয়ে শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করা উচিত ছিল সরকারের। বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল করেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সরকারের উচিত ছিল কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা এবং বিষয়টি আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলা। আমাদের সরকার কোটা কমানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। আদালত ভুল করেছে এবং আমরা কোটা চাই না বলে সবাইকে আশ্বস্ত করার সুপারিশ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সরকার সেটা শোনেনি এবং বিচার ব্যবস্থার ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছে।’