পরাজিত শক্তি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দিচ্ছে: ফজলুল করিম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম শায়েখ চরমোনাই বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের নজিরবিহীন পরাজয় নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরাজিত শক্তি নিজেদের অপরাধের পাল্লা আরও ভারি করতে দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে কোথাও ডাকাতি, কোথাও ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ঘুরেফিরে তাদের সম্পৃক্ততার খবর আসছে।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, তারা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যেখানে দিনরাত এক করে ছাত্র-জনতা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী এবং মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা সারাদেশে ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়ে গোটা পৃথিবীতে নজীর স্থাপন করছে, সেখানে দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে।
ফয়জুল করিম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সারাদেশে সড়কে নিরাপত্তা রক্ষায় ট্রাফিকের কাজ করেছে। ভয়াবহ চুরি-ডাকাতি এবং থানা ও অমুসলিমদের বাড়ি-ঘর রক্ষায় দিনরাত পাহারা বসিয়ে হেফাজত করেছে এবং এখনও তা অব্যাহত রাখছে। এরপরও যারা অমুসলিমদের বাড়ি-ঘর ও উপাসনালয়ে হামলার অজুহতা তুলে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করছে, তারা পরাজিত শক্তি, তারা দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু। তারা দেশ ঘুরে দাঁড়াক তা চায় না।
শনিবার বিকেলে পুরানাপল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত বীরদের স্মরণ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মুফতি হাফিজুল হক ফাইয়াজের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম নাসির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য শায়খুল হাদিস মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল-ফরিদী, আলহাজ খন্দকার গোলাম মাওলা, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মারুফ, মাওলানা আল আমিন সোহাগ, মুফতি শওকত ওসমান, মাওলানা হাম্মাদ বিন মোশাররফ, ওয়ালী উল্লাহ তালুকদার।
মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, নতুন উপদেষ্টা পরিষদকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে যে টাকা পাচার করেছে, সে পাচারকারীদের এই সরকার অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করবে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা যখন বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছে, তখন একদল মানুষ নৈরাজ্য করছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দখলদারিত্ব চালাচ্ছে, লুটপাট করছে, এসবের মূল উদ্দেশ্য ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করা। তাই ছাত্র-জনতাকে বলব, নৈরাজ্য রোধে পাড়ায় পাড়ায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করুন। সর্বাবস্থায় সকর্ত পাহারা বসিয়ে তাদের অপকর্মকে রুখে দিতে হবে।