হতাহতের দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান চরমোনাই পিরের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হতাহতের দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, সরকার প্রধান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উস্কানিমূলক কথা বলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিপদজনক মাত্রায় নিয়ে গেছেন। এই আন্দোলনে যেভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, তা পরিষ্কার গণহত্যা। এর দায় প্রধানমন্ত্রী, তার মন্ত্রী পরিষদ এবং আওয়ামী লীগকে নিতে হবে। দেশবাসীর কাছে এ জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনে নজীরবিহীন দমনপীড়নে শিশু-কিশোর, নারীসহ এখন পর্যন্ত দুই শতাধিক ছাত্র-জনতা হত্যার শিকার হয়েছেন। যা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এতো ব্যাপক ও রক্তবহুল আন্দোলন আগে কখনও হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রতিহত করতে গিয়ে সরকার পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছে এবং জনতার ওপরে ইসরাইলি কায়দায় বর্বর নির্মমতা চালিয়েছে। কোনও সভ্য-স্বাধীন দেশের জনতার সঙ্গে এ ধরণের নির্মমতা চালানো যায় না। অবিলম্বে গণহত্যার দায় নিয়ে সরকার প্রধানকে পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
চরমোনাই পির বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে এবং রিমান্ডের নামে চরম নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এটা সংবিধান ও মানবতাবিরোধী।’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের আটক ও রিমান্ড বন্ধ করতে হবে। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নির্যাতন, হয়রানি ও তুলে নেওয়া বন্ধ করতে হবে। নিহতদের পরিবারকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় ক্ষতিপূরণ, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পঙ্গুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলনের নেতা বলেন, রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সরকারের পতনের একদফা দাবি নিয়ে ঐকমত্য রয়েছে। আমরাও সরকার পতনের একদফা দাবিতে একমত ছিলাম এবং আছি। এই জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার লক্ষ্যে দেশের সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী সংগঠনসহ দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণকে একতা গড়ে তোলার আহ্বান করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন প্রমুখ।