ইন্টারনেট বন্ধ করে দেশজুড়ে গণহত্যা চালিয়েছে সরকার: এবি পার্টি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
চলমান গণআন্দোলন দমাতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগকে দিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেশজুড়ে যে গণহত্যা চালিয়েছে তা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকেও হার মানিয়েছে। এখন সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সংখ্যা ও বিচারকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সরকার নানারকম মিথ্যা গল্প সাজানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তারা বলেন, ইতোমধ্যেই আন্দোলনরত ছাত্রসমাজ ও বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে সারা দেশে প্রায় নয় হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়ককে ডিবি অফিসে তুলে এনে নির্যাতন করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে অনবরত হয়রানি চালানো হচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে রিমান্ডে নিয়ে আমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে।
সাধারণ ছাত্র-জনতাকে আতঙ্কিত করতে রাতের আঁধারে ব্লক রেইড দিয়ে গণগ্রেফতার চালানো হচ্ছে। যেখান থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী, কিশোর ও সিনিয়র সিটিজেনরাও।
নেতারা দেশব্যাপী এ হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, গণহত্যা কিংবা গণগ্রেফতার কোনো কিছু করেই স্বৈরাচারের শেষ রক্ষা কখনো হয়নি। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি, আপনিও পারবেন না। তারা সরকারকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে নিজ থেকে পদত্যাগ করুন। জনগণ আর আপনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। নেতারা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত সংখ্যা উদ্ঘাটন ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত দাবি করেন।