‘শ্রীলংকা স্টাইলে’ গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র ছিল: ওবায়দুল কাদের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতিতে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি না করলে ‘শ্রীলংকা স্টাইলে’ গণভবন দখলের ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন তিনি।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের (বিএনপি) নৃশংসতা হানাদার বাহিনীকে হার মানিয়েছে। ক্ষমতার জন্য লন্ডনের পলাতক (তারেক রহমান)...গণ–অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শ্রীলংকা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দখল করার টার্গেটও ওই রাতে ছিল। যদি কারফিউ জারি না হতো। এই প্ল্যান তাদের ছিল। শ্রীলংকা স্টাইলে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি আক্রমণ করা, অভ্যুত্থানের ওপর ভর করে হাওয়া ভবনের যুবরাজ ক্ষমতা দখল করত। এটাই তো তাদের পরিকল্পনা।’
তিনি বলেন, বিএনপি এখন স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, উন্নয়নবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম করার কথা জানান দিচ্ছে। তাদের আহ্বানে তাদের দোসররা সাড়া দেবে—এটাই স্বাভাবিক। মাথা যেদিকে যাবে, লেজও সেদিকে যাবে। এতে নতুনত্ব কিছু নেই। তবে তাদের ঐক্য অগ্নিসন্ত্রাসের ঐক্য। দেশ ও দেশের উন্নয়ন ধ্বংসের ঐক্য।
সেনাবাহিনী কোথাও গুলি করেনি বলে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন কারফিউ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিলেন, সেনাবাহিনী নামলো। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, সেনাবাহিনী কোথাও একটা গুলিও ছুড়েনি। অথচ অপবাদ দেওয়া হচ্ছে— আমরা যেন হাজার হাজার মানুষ মেরে ফেলেছি। আজকে আমাদের মেরে ফেলা... গতকাল (শনিবার) তালিকায় দেখেছি, আমাদের ১২জন কর্মী...।’
এসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নিহত এক নেতার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এগুলো করেছে আক্রমণকারীরা। আজকে অনেকে অনেক কথা বলেন। ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে ১৫ জনকে। এসবের জন্য কারা দায়ী।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেখতে যাচ্ছেন বিবেকের টানে, হৃদয়ের টানে। আপনাদের মতো মায়াকান্না করতে নয়। বিবেক ও হৃদয়ের টানে তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য যা করতেন, তার কন্যাও সেই সহানুভূতি নিয়ে যাচ্ছেন।’
আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সহিংসতায় নিহত আহতদের পরিবার, পরিজনের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদেরকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, তাৎক্ষণিক সাহায্য করছেন এবং ভবিষ্যতে যেনো সচ্ছলভাবে চলতে পারেন সে ব্যবস্থা করছেন। এই কাজ তো বিএনপি করে না। ফখরুল পারে শুধু হঠাৎ করে অন্ধকারে ঢিল ছুড়তে। তারা আছে বিবৃতির রাজনীতি নিয়ে, তারা মানুষের কাছে যায় না।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল ও লবণ এবং ১ লিটার তৈল দেওয়া হয়।