শিক্ষার্থীদের আংশিক স্লোগান মূলধন করা গ্রহণযোগ্য নয়: আমির খসরু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১০:০৪ পিএম
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আংশিক স্লোগানকে মূলধন করা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যে স্লোগান দিচ্ছে তা হচ্ছে- ‘চাইতে গেলাম অধিকার; হয়ে গেলাম রাজাকার, ‘আমি কে তুমি কে রাজাকার রাজাকার; কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার’। অর্ধেক স্লোগান দিলে তো হবে না, পুরো স্লোগান বলতে হবে। পুরো স্লোগানটা যদি মাথায় রাখেন কোনো সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দুটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক শেষে আমির খসরু এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু।
এর আগে গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ) এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। এতে অংশ নেন- গণঅধিকার পরিষদ একাংশের ফারুক হাসান, ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, তারেক রহমান আব্দুল্লাহ, ইমাম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ইসমাইল সম্রাট, সাজ্জাদুর রহমান রাফি, রিমন হোসেন, হামিদ ফিথু, তাওহীদুর ইসলাম, রাসেল হোসেন, মুহাম্মদ ইসহাক হাবিব ও হাসিবুর রহমান রাকিব প্রমুখ।
আমির খসরু বলেন, এখন বাংলাদেশে কেউ যদি তার অধিকার চায় তাহলে তাকে কেউ বলবে ষড়যন্ত্রকারী, কেউ বলবে বিএনপি উসকানি দিচ্ছে, কেউ বলবে এটা রাজাকার, কেউ বলবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের শক্তি। এসবকে মূলধন করে অনেক দিন ধরে জাতিকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আর সেই সুযোগ নেই। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব গ্রহণযোগ্য নয়। সেজন্যই তারা আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে, লাঠিপেটা করা হচ্ছে, রক্তাক্ত করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের এনে আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা সারা দেশের মানুষ দেখতে পাচ্ছে, সারাবিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। দেশের মানুষ আজ মুক্তির আন্দোলন করছে।
আমির খসরু বলেন, দেশ কোনো গোষ্ঠীর হতে পারে না। কোটা সংস্কার আন্দোলন হচ্ছে একটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তারা তাদের আন্দোলন সফলভাবে করছে। যারা আন্দোলন করছেন তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবন্ধাব রয়েছে। সবাই এর ন্যায়সঙ্গত সমাধান চান। তা না করে যদি লাঠিপেটা করেন, মিথ্যা মামলা দেন তাহলে তো সঠিক সমাধান পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও মিথ্যা মামলা- এসবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।