দেশবিরোধী চুক্তি আড়াল করতেই ছাগলকাণ্ড: রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:১৭ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী অসম চুক্তি করেছে সরকার। এ চুক্তি আড়াল করতেই ছাগলকাণ্ড, বেনজীরকাণ্ড, আজিজকাণ্ড এবং হেলিকপ্টারে আসামি গ্রেফতারকাণ্ড সামনে আনা হচ্ছে।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একজন ডিক্টেটরের হুকুমে দেশ চলছে। এজন্যই জনগণ আজ ত্যাজ্য, প্রত্যাখ্যাত ও নিজ দেশে পরবাসী হতে চলেছে। গোটা জাতি এখন ভীতি ও শঙ্কার মধ্যে। শ্বাসবায়ু প্রাণভরে কেউ গ্রহণ করতে পারছে না। তবে জনগণ চূড়ান্ত বাধা টপকিয়ে বাংলাদেশকে কারো আশ্রিত রাজ্য বানাতে দেবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন যারা ভারত বিরোধিতার ইস্যু খুঁজছেন, তারা আবারো ভুল পথে যাচ্ছেন। ওবায়দুল কাদেরের কথায় ধরে নিতে হবে আমাদের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করে কেউ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে স্থাপনা করে যাবে, তারপরও এর বিরোধিতা করলে সেটি ভুল পথ হবে। এ ধরনের কথা কেবলমাত্র নতজানু, জনগণের ক্ষমতা ছিনতাইকারী দেশদ্রোহীদের মুখেই সাজে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারত রেলপথ নির্মাণ করবে আর সেটি চুপ করে দেখা হবে ৭১-এর শহিদদের রক্তকে অসম্মান করার শামিল।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেলপথ বসানোর চুক্তি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লাখ মা-বোনের নির্যাতনের সঙ্গে বেইমানি করছেন। বাংলাদেশের সীমান্ত রক্তে ভেজা। ভারত থেকে বয়ে আসা বাংলাদেশের নদীগুলো ঊষর মরুভূমিতে পরিণত। চরম বাণিজ্য ঘাটতির পটভূমিতে বাংলাদেশের বুক চিরে রেললাইন বসিয়ে ভারতের সামরিক ও বেসামরিক পণ্য পরিবহণের সুযোগে বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্যে শনিরদশা ডেকে আনা হবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষা এবং নিজস্ব শক্তির ওপর নির্ভরশীল থাকতে পারবে না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দেশে দুর্নীতির মহামারী, লুণ্ঠন আর কুৎসিত অনাচারের নানা রং-বেরঙের কাহিনি এখন মানুষের মুখে-মুখে। আর এসব অপকর্মে জড়িতরা প্রায় সবাই ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ। এসব ঘটনা ফাঁস হওয়াতে সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা বেসামাল হয়ে পড়েছেন। ভারসাম্যহীন কথাবার্তা বলছেন। একদিকে বলছেন- দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রচার ষড়যন্ত্রের অংশ, আবার অন্যদিকে বলছেন অভিযোগ সত্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সম্পাদক আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল ওয়াদুদ ভুইয়া, তারিকুল আলম তেনজিং, মশিউর রহমান বিপ্লব, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম প্রমুখ।