ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সাল থেকে বন্দিজীবন পার করছেন। শুরুতে কারাগারে থাকলেও পরবর্তীতে রয়েছেন গুলশানের বাসা ফিরোজায়। বন্দি হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৪টি ঈদ কেটেছে এক রুমেই। কখনো পুরান ঢাকার কারাগারে, কখনো হাসপাতালের কেবিনে, আবার কখনো ফিরোজায়। এভাবেই একটি রুমে কেটে যায় ১৪টি ঈদ।
গতকাল সোমবার ঈদুল আজহার দিনটিও বন্দি ছিলেন তিনি। শুধু একটা সময় সাক্ষাৎ দিয়েছেন দলের সিনিয়র নেতাদের।
দীর্ঘদিন অসুস্থ বেগম জিয়া। দলীয় নেতারা তার উন্নত চিকিৎসা এবং মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছেন। সর্বশেষ সোমবার সাক্ষাৎ শেষে দলের নেতারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। ঈদের দিন দলের সিনিয়র নেতারা তার পক্ষ থেকে ঈদ শুভেচ্ছা জানালেও তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা কামনা করেন।
ঈদের দিনে বাসার রান্না করা খাবার গ্রহণ করেছেন খালেদা জিয়া। বাহিরে না যেতে পারলেও পরিবারের ছোট শিশুরা সঙ্গ দেন বেগম জিয়ার। তার ভাগনে ও ছেলের দিকের নাতি-নাতনিদের সঙ্গে গল্প করেই কাটিয়েছেন বেশ কিছু সময়।
আদালতের আদেশে বেগম জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। ওই বছরের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা তিনি সেই পরিত্যক্ত কারাগারে কাটান।
২০১৯ সালে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের এক রুমেই কেটে যায় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মুখে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে গুলশানের ফিরোজা তার নিজ বাসাতেই রাখা হয় বেগম জিয়াকে। সে বছরের দুইটি ঈদ পালন করেন বাসাতে।
২০২১ সালে ঈদুল ফিতরের দিনটি কাটান হাসপাতালের রুমে। তবে ঈদুল আজহার সময় তিনি ফিরোজাতেই ছিলেন। তার পরের ২০২২, ২০২৩ এবং চলতি বছরের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করেন ফিরোজাতেই।