স্বাধীনতা সংগ্রামে সিরাজুল আলম খান ছিলেন কিংবদন্তিতুল্য
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪, ০৫:৪৮ এএম
মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয়তাবাদী সংগ্রামে সিরাজুল আলম খান কিংবদন্তিতুল্য ছিলেন। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে তিনি সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সিরাজুল আলম খান (এসএকে) ফাউন্ডেশন ও রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও নিউক্লিয়াস প্রধান সিরাজুল আলম খান দাদা’র প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ফারাহ খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা. এবিএম হারুন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, জেএসডির সহসভাপতি এমএ আওয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বাসুদের উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও কলামিস্ট শামসুদ্দিন পেয়ারা।
জাসদের (একাংশ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, সিরাজুল আলম খানের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হওয়ার পর জানলাম, তার একটি মিশন আছে এবং ভিশন আছে। তিনি একটি সংগঠনের যাত্রা করেছেন যাকে বলা হয় স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ। ইদানীং সেটাকে নিউক্লিয়াস বলা হয়। আমরা সে সময় নিউক্লিয়াস নামে কোনো কিছু শুনিনি এবং তিনিও (সিরাজুল আলম খান) বলেননি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ অর্থাৎ জাতীয়তাবাদী এ সংগঠনের ভিতরে তার মিশন নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। অনেকে অনেক কথা বলেন, আমি মনে করি সিরাজ ভাইকে সেগুলোর মাধ্যমে বিতর্কিত করা হয়।
জেষ্ঠ্য আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা প্রথম সাংগঠনিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন সিরাজুল আলম খান। আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ ছিলেন রূপকার। অনেকে ক্ষমতার দাপটে অস্বীকার করতে পারেন। আজকে এই দেশে কালো টাকা সাদা করলে ১৫ শতাংশ কর আর পরিশ্রম করে আয় করলে দিতে হবে ৩০ শতাংশ তাহলে সৎ থাকার দরকার কী। আজকে আরেকজন সিরাজুল আলম খানের মতো একজন রূপকার দরকার।
অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দাদা ভাই স্বাধীনতার উত্তরাধিকার হিসাবে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু আজকে তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এমনকি স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা চলছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আজকে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে অবস্থা, আমি সরকারের কাছে দাবি করি না, যে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হোক। তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন তার আদর্শ নিয়ে।
সুজন সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সিরাজুল আলম খানের সঙ্গে নিজের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাকে দেখে আমরা উদ্দীপ্ত হতাম। তিনি ’৬০-এর দশকে ভূমিকা না রাখলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তাকে ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা অসম্ভব।