কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে বৈধতা দেওয়া: ইসলামী আন্দোলন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বাজেটে কালো টাকা সাদার করার সুযোগ মানে দুর্নীতির টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে আরো দুর্নীতিগ্রস্ত জাতি তৈরির সুযোগ করে দিল সরকার।
তিনি বলেন, দুর্নীতির টাকা সাদা করার সুযোগ না দিয়ে বরং দুর্নীতির টাকা ফিরিয়ে এনে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা উচিত।
শুক্রবার বিকালে পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মজলিসে শূরা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা বার্ষিক লুটপাটের বরাদ্দপত্র। ঋণনির্ভর বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ ঋণের সুদ প্রদানের জন্য রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এ বছর আগের ১২ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে, যা মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এতে করে জনগণকে সুদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সুদ দেওয়া, নেওয়া, সুদের সাক্ষী হওয়া সবই গুনাহের কাজ। কৌশলে জনগণকে সুদে সম্পৃক্ত করার নীলনকশা বন্ধ করতে হবে।
মহাসচিব বলেন, সরকারি কাজে ব্যয় কমানো কিংবা আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে এদের কোনো উদ্যোগ নেই, এদের আগ্রহ অনুৎপাদনশীল উন্নয়ন প্রকল্পে।
সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শূরা অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, আলহাজ আলতাফ হোসেন, আলহাজ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নুরুজ্জামান সরকার, দফতর সম্পাদক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, সহ-দফতর সম্পাদক মুফতী আখতারুজ্জামান, এমএইচ মোস্তফা, মুফতী রফিকুল ইসলাম আশরাফী, ছাত্রনেতা আব্দুর রহমান, আব্দুল কাদির, শ্রমিক নেতা হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানীয়া, মাওলানা শফিকুল ইসলাম। শূরা অধিবেশন সঞ্চালনা করেন মাওলানা কেএম শরীয়তুল্লাহ।
কেএম আতিকুর রহমান বলেন, বাজেটের তিন ভাগের এক ভাগ বরাদ্দ বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ করার জন্য, যা মুসলিম জাতি হিসেবে আমরা মর্মাহত। সুদের মতো একটি হারাম কাজে জনগণকে জড়িয়ে সরকার জনগণকে গুনাহের দিকে ধাবিত করছে। সাহাবায়ে কেরাম বিশ্বব্যাপী দীন বিজয় করে গেছেন। আমরা দীন থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছি।
তিনি বলেন, প্রযুক্তির গতি বৃদ্ধি হয়েছে বটে, আমরা ইমান ও আমলের গতি হারাচ্ছি। কাজেই ইমান ও আমলের মেহনতের মাধ্যমে আমাদের হারানোর গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকার ঋণনির্ভর বাজেট দিয়ে জাতিকে ঋণের বোঝায় জর্জরিত করে তুলছে। সরকারের ঘোষিত নতুন বাজেট জনগণের ওপর নতুন করে দ্রব্যমূল্যের খড়্গ চাপিয়ে দেওয়ার বাজেট।