জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত: জামায়াত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথা জানান।
গোলাম পরওয়ার বলেন, কেরোসিন, ডিজেল, পেট্রল ও অকটেনসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক ও জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে সরকার। জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তে দেশের সর্বস্তরের জনগণ উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত।
তিনি বলেন, সরকার কেরোসিন ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৭৫ পয়সা এবং পেট্রল ও অকটেনের দাম প্রতি লিটারে আড়াই টাকা বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তা সম্পূর্ণ জনস্বার্থবিরোধী। সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের গোটা অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। সব জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে কেরোসিন ব্যবহারকারী দরিদ্র লোকদের ঘরে বাতি জ্বলবে না। যারা কেরোসিনের চুলায় রান্না করে তাদের রান্না খরচ বাড়বে।
জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পেট্রল, ডিজেল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বাস, লঞ্চ ও ফেরির ভাড়া বাড়বে। পানি সেচের খরচ বাড়বে। ফলে কলকারখানায় পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়বে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ও কৃষিপণ্য, তরকারি এবং মসলার দাম বাড়বে। দরিদ্র, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত জনগণের জীবন যাত্রার খরচ বাড়বে।
দেশের দরিদ্র জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বর্তমান সরকার অবৈধ। এ সরকার পাশবিক শক্তির জোরে টিকে আছে। জনগণের দুঃখ-কষ্টে এ সরকারের কিছুই আসে যায় না। যে কারণে এ সরকার ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই আবার সব ধরনের জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করেছে। সরকার জনগণের মাথায় একের পর এক মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।