সমমনাদের সঙ্গে বৈঠক
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বিএনপি। এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এনডিএমের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন।
বুলু বলেন, দেশের ৬৩ রাজনৈতিক দল আমরা যে জায়গায় ছিলাম, সেখান থেকে আবার নতুন যাত্রা শুরু করছি। দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাব। সেই লক্ষ্যে আবার কীভাবে কর্মসূচি নেওয়া যায়, সেটা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করে কোথায় কী কী কর্মসূচি নিতে পারি সেবিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটা জায়গায় দেশকে নিয়ে এসেছে, আর বেশি দূরে নয় আবারও দুর্ভিক্ষ আনবে। এটা রোধ করার জন্য জনতার আন্দোলন তৈরি করতে আমরা একত্রিতভাবে কাজ করছি। এক দফা আন্দোলনে আমরা একসঙ্গে ছিলাম, আছি। সামনে কিভাবে এগুতে পারি তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন-এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন, উচ্চ পরিষদ সদস্য হুমায়ুন পারভেজ খান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার শাহেদুল আজম, দপ্তর সম্পাদক জাবেদুর রহমান জনি।
পরে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা। এতে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মসিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসানসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি অংশ নেন। এরপর রাতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে জামায়াত ও ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলন ইস্যু: এদিকে বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামীকে যুক্ত করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে পরিষ্কার হতে চেয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
এছাড়া ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলনের বিষয়েও বিএনপির অবস্থান জানতে চেয়েছে জোটের নেতারা। সন্ধ্যা সোয়া ৭টা থেকে পৌনে দুই ঘণ্টার ওই বৈঠক হয়। এতে উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চের একাধিক নেতা জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে ধারণা দেওয়া হয়েছে, যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে নতুন কোনো মেরুকরণ হচ্ছে না। আর ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলনে যারা যুক্ত হয়েছেন, সেটা তাদের ব্যক্তিগত। এ বিষয়ে বিএনপির দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
সূত্রমতে, বৈঠকে জোটের একজন নেতা জানিয়েছেন, তাদের যুগপৎ আন্দোলনে এখনই যেন জামায়াতকে যুক্ত না করা হয়। আন্দোলনে বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা দিলে তখন যে কেউ যুক্ত হতে পারে। এছাড়াও বিগত আন্দোলন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তারা বিএনপির চিন্তাভাবনা জানতে চেয়েছেন। তারা দলীয়ভাবে আলোচনা করে মঞ্চের নেতাদের জানাবেন বলেছেন।
ওই বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।