দুর্বৃত্তদের সুবিধা দিতেই উপজেলা নির্বাচনে জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত: গণতন্ত্র মঞ্চ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭ পিএম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ১০ থেকে ১৫ গুণ বৃদ্ধি করে এক লক্ষ ও পঁচাত্তর হাজার টাকা করার সিদ্ধান্তকে চরম খামখেয়ালী ও স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পর্ষদের সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন। মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদির, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ফরিদুল হক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, কালো টাকার মালিক ও দুর্বৃত্ত মাফিয়াদের সুবিধা দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের ফলে সৎ জনবান্ধব এবং জনগণের সত্যিকারের নেতাকর্মীদের পক্ষে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে না।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, একদিকে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বসে পড়েছে তখন উপজেলা নির্বাচনে ১০-১৫ গুণ জামানত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্বাচনকে অর্থহীন করে তুলবে। অগণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে ২০১৪, '১৮ এবং '২৪ এর ডামি নির্বাচনে দেশের জনগণ অংশগ্রহণ করেনি। জনগণকে যেভাবে নির্বাচনে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের সেভাবে নিরুৎসাহিত করতেই সরকারের এই কূটকৌশল। কারণ সরকার ভালোভাবেই জানে দেশের মানুষ তাদের ভোট দিবে না। গণতন্ত্র মঞ্চ সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তকে গণতন্ত্র বিরোধী উল্লেখ করেছে।