ঢাকায় ইসরাইলি বিমান অবতরণ উদ্বেগজনক: রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
ইসরাইলি দুটি কার্গো বিমান বাংলাদেশের বিমানবন্দরে উঠানামা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে যতটুকু শুনতে পাচ্ছি তাতে এ ঘটনা খুবই রহজ্যজনক এবং উদ্বেগজনক বলে মনে করছি।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ এখন ব্যাপকভাবে দুর্নীতি চাষের উর্বর ভূমি। দুর্নীতির এমন একটি পাহাড় রচিত হয়েছে সেই পাহাড়ের চূড়ায় এখন ক্ষমতাসীন অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর লোকেরা অবস্থান করছে। বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত তালিকায়ও এখন বাংলাদেশের নাম রয়েছে।
তিনি বলেন, ডামি সরকারের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নেই, দায়বদ্ধতা নেই। কারণ তাদের জনগণের ভোটের কোনো প্রয়োজন হয় না। তারা ভোটকে পাত্তা দেয় না। যারা জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করে তাদের কাছে জনগণ কী আশা করবে।
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণা মতে বর্তমানে দুর্নীতির শীর্ষ দশের মধ্যে মাঝামাঝি অবস্থায় বাংলাদেশ রয়েছে। এমনকি দুর্নীতির মাধ্যমে, লুটপাট করে টাকার পাচার করে বিশ্বের উন্নত দেশের শীর্ষ ধনীদের মাঝেও নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী এবং তাদের আত্মীয় স্বজনরা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত। দুর্নীতির মহাকাব্যের মধ্যে বাংলাদেশ অবস্থান করছে। দুর্নীতি করে আর রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হরিলুট করেই চলছে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা। যারা দুর্নীতির মধ্যে ভাসছে তাদের কাছে মানবধিকার প্রিয় হবে কেন? ভোট প্রিয় হবে কেন? মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা তাদের কাছে প্রিয় হবে কেন? এগুলো ছাড়াইতো তারা ক্ষমতাসীন হয়ে অবাধে জনগণের টাকা লুটে নিতে পারছে। পৃথিবীর ধনী ধনী দেশে দুর্নীতির টাকা দিয়ে স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলতে পারছেন।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে যখন দুর্নীতিকে আশকারা দেওয়া হয়, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকতে সুযোগ দেওয়া হয় তখন তারা অবৈধ দুর্নীতির টাকা নিয়ে সমাজে আধিপত্য বিস্তারে তারা মত্ত হয়ে উঠে। এখন দেখছেন ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর আধিপত্যের জেরে জনপথের পর জনপথ রক্তাক্ত হয়ে উঠছে। রক্তের হুলি খেলায় মেতে উঠেছে তারা। আজও মুন্সীগঞ্জে তাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে একজন খুন হয়েছেন।
এ সময় তিনি দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, সব জরাজীর্ণতা ও গিলানি মুছে নতুনভাবে দেশটাকে গড়ে তোলা, আমাদের যে লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফেরানো, সে আন্দোলনকে আরও বেশি তরান্বিত করা, মানুষের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনা-এসবই হোক আমাদের প্রত্যাশা।