গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি এবি পার্টির
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
ছবি: যুগান্তর
ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে নারী ও শিশু হত্যা গোটা বিশ্ববিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ইসরাইলি বাহিনী গাজার হাসপাতাল, রিফিউজি ক্যাম্প, ত্রান বিতরণস্থলসহ সর্বত্র বেসামরিক নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে। যার ফলে সেখানে এক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বের সব মানবতাবাদীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি।
ইসরাইলি বাহিনীর চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে রোববার আয়োজিত গণনিন্দা ও প্রতিবাদী গণইফতারে এ আহ্বান জানান বক্তারা।
এদিন বিকাল ৫টায় পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সঞ্চালনায় বিজয় নগরের বিজয় ৭১ চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান বক্তা ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী।
বিশেষ বক্তা ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম।
মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, প্রতিদিন ইসরাইলি বাহিনীর হাতে গাজার লোকেরা শহিদ হচ্ছে। এই রমজানে তারা ঘাস খেয়ে জীবনযাপন করার প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের ত্রাণশিবিরগুলোতেও দখলদার বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু গোটা পৃথিবীর বিবেক হিসেবে যারা দাবি করে তারা এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
তারা যেকোনো কিছু হলেই মানবাধিকারের কথা বলেন, মানবতার কথা বলেন কিন্তু ফিলিস্তিনের গণহত্যা নিয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বর্তমান এই আওয়ামী লীগ সরকারও একই কায়দায় দেশের ইসলামি তাহজিব তমাদ্দুনকে ধ্বংস করে ইফতার মাহফিলে হামলা করছে।
গণনিন্দা ও প্রতিবাদী গণইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন মাসিক মঈনুল ইসলামের সম্পাদক ও হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মুনির আহমদ, এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমান, দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, উত্তরের সদস্যসচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, রুনা হোসাইন, রিপন মাহমুদ, শরণ চৌধুরী, শাহীনুর আক্তার শীলা, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফ, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান সহকেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।