সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৮ পিএম
বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সোমবার রেশনিং চালু, টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়ানো, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামানোর দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচিতে জোটটির নেতারা এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, জনগণ স্পষ্ট বুঝে গেছে সরকার-ই সিন্ডিকেট লালন পালন করছে। আর সে কারণে বিরোধীদের ওপর দায় চাপাতে সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলছেন, সিন্ডিকেটের মধ্যে বিএনপির হাত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। আসলে সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার। নতুন করে গণবিক্ষোভ দমন করার জন্য ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
তারা বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, রাতারাতি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এই সরকার তো ২ মাস হলো ক্ষমতায় আসেনি। ১৫ বছর ধরে একটানা তারা ক্ষমতায় আছে। তাদের খুব কাছে থাকা বড় বড় ব্যবসায়ীগোষ্ঠী পুরো খাদ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থেকে এসব ব্যবসায়ীগোষ্ঠী সমস্ত আমদানি ও বিপণনের ওপর একক কর্তৃত্ব বজায় রাখে। নিজেদের লুটপাটের সুবিধার জন্যই সিন্ডিকেট ভাঙার কার্যকর কোন পদক্ষেপ সরকার নেয় না।
তারা আরো বলেন, সরকারের নিজস্ব আমদানি উদ্যোগের মাধ্যমে রেশনিং-এর ব্যবস্থা, টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি বাড়ানো, বেসরকারি পর্যায়ে উন্মুক্ত আমদানির পরিবেশ নিশ্চিত করা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, শুল্ক কমানো ইত্যাদি পদক্ষেপে দীর্ঘসূত্রিতা করতেই থাকে। এর সাথে আবার লুটপাটের অর্থ জোগান দেওয়ার জন্য গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির দাম বাড়িয়ে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।