Logo
Logo
×

রাজনীতি

ইসলামী দলগুলোর প্রার্থীরা কে কত ভোট পেলেন

Icon

তানজিল আমির

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম

ইসলামী দলগুলোর প্রার্থীরা কে কত ভোট পেলেন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭টি ইসলামী দলের মোট প্রার্থী ছিলেন ২৭৬ জন। এর মধ্যে একজন প্রার্থীও জয়লাভ করেননি। এমনকি দ্বিতীয়-তৃতীয় তথা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই আসতে পারেননি তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার অভাব ও রাজনীতিতে নিয়মতান্ত্রিকতা না থাকায় ভোটের মাঠে ইসলামী দলগুলো সুবিধা করতে পারছে না। জনগনের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি ও জনসম্পৃক্ত ইস্যুগুলোতে সরব না হলে সামনে তাদের ভোট আরও কমতে পারে।  

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইসলামী দল হচ্ছে ১১টি। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আপত্তি ছিল তাদের।

এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭টি ইসলামী দল অংশ নিয়েছিল। ৭টি দলের মোট প্রার্থী ছিল ২৭৬ জন। 

অংশগ্রহণকারী ইসলামী দলগুলো হচ্ছে— ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি।

এর মধ্যে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের প্রার্থী ছিল ৩৯ জন, ইসলামী ঐক্যজোটের ৪২ জন, জাকের পার্টির ২১ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ৩৭ জন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ১১ জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ৩৮ জন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ৭৯ জন। 

এছাড়া বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্রভাবে কয়েকজন আলেম এবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে শুধু সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) আসনে নৌকাকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি ও ফুলতলীর পির মাওলানা মোহাম্মদ হুছাম উদ্দিন চৌধুরী। 
 
চট্টগ্রাম জেলাতেই তরিকতপন্থি চারটি ইসলামিক দলের চেয়ারম্যান-মহাসচিব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচনে নতুন নিবন্ধিত বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) বাদেও তরিকত ফেডারেশন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান-মহাসচিবরা নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছেন। 

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আলহাসানী আল মাইজভাণ্ডারী এবং বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি আসনে), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে, দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে, এবং ইসলামিফ ফ্রন্ট বাংলাদেশ’র মহাসচিব আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী-হালিশহর) ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-ডবলমুরিং) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

তবে নির্বাচনের দুই দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। যেহেতু তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় ব্যালটে তার প্রতীক রয়ে যায়, সে কারণে কিছু ভোটও পান তিনি।

রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন। আসনটিতে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৬৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মো. আবু তৈয়ব তরমুজ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট। এ আসনে ৩২ দশমিক ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। 

এর মধ্যে শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ একতারা প্রতীকে পান তিন হাজার ১৫১ ভোট। পাশাপাশি তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী ফুলের মালা প্রতীকে পান ২৩১ ভোট। ওই আসনে ভোট পড়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৫টি।

চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী-হালিশহর) আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৮৫ হাজার ৮০১ জন। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। 

আসনটিতে ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ আসনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ’র প্রার্থী দলটির মহাসচিব আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৫৬৫ ভোট। এ আসনে ভোট পড়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ১৩৪টি।

চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি দুই হাজার ১৫১ ভোট পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন মোমবাতি প্রতীকে আট হাজার ২৯৮ ভোট পেয়েছেন। হিসাব অনুযায়ী জামানত ফিরে পেতে এ আসনে তাকে ২১ হাজারের মতো ভোট পেতে হতো।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট’র মহাসচিব সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ২৩১ ভোট। জামানত ফেরত পেতে বিজিত প্রার্থীকে কমপক্ষে ১৪ হাজার ৬৫৮ ভোট পেতে হবে।

কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দুটি দল বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। 

খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে বটগাছ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৩৫ ভোট। দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ৪৭৩ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সুলতান মহিউদ্দিন কুমিল্লা-২ আসনে পেয়েছেন ২২২ ভোট। 

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে মিনার প্রতীকে ৯৯৪ ভোট পেয়েছেন। যুগ্ম মহাসচিব আলতাফ হোসাইন কুমিল্লা-২ আসনে ৯৪৪ ভোট পেয়েছেন। আরেক যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ তৈয়্যেব হোসাইন ময়মনসিংহ-২ আসনে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৫৩ ভোট।  

দলটির অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে- মৌলভীবাজার-৪ আসনে আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৮, নেত্রকোনা-২ আসনে মো. ইলিয়াস ৫ হাজার ২৮৪, গাজীপুর-১ আসনে ফজলুর রহমান পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৩, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে ওসমান গণি চৌধুরী ১০১১ ভোট, মৌলভীবাজার-২ আসনে আসলাম হোসাইন রহমানী পেয়েছেন ৩৬৬ ভোট।  

ইসলামিক দলগুলোর বাইরে বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্রভাবে কয়েকজন আলেম এবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে শুধু সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) আসনে নৌকাকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আঞ্জুমানে আল ইসলাহ’র সভাপতি ও ফুলতলীর পির মাওলানা মোহাম্মদ হুছাম উদ্দিন চৌধুরী। 

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ। হুছাম উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুক উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৩ ভোট। 

গত ৫ ডিসেম্বর হুছাম উদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ বৈঠকের পর থেকেই তার অনুসারীরা বিষয়টিকে ‘শুভ ইঙ্গিত’ বলে প্রচার শুরু করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে নিজ দলের প্রার্থীকে রেখে হুছাম উদ্দিনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় নামেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, নৌকার প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও হুছাম উদ্দিনকে জিতিয়ে আনতে সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলের তৎপরতা ছিল। এমনকি তার পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাও নামেন।

অন্যদিকে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫টি। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ছিলেন। গত ২৩ নভেম্বর নির্বাচন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তৃণমূল বিএনপির হয়ে লড়েন তিনি।   

বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে বাগেরহাট-১ আসনে শেখ হেলালের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ডাব প্রতীকে ১১৭৫ ভোট পেয়েছেন। 

কুষ্টিয়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মাওলানা শহীদুল ইসলাম ফারুকী পেয়েছেন ১ হাজার ২০৩ ভোট। 

ইসলামী দলগুলোর ভোট বিপর্যয়ের ব্যাপারে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা মুভ ফাউন্ডেশনের প্রধান সাইফুল হক বলেন, আমাদের সমাজ আলেম-ওলামা বা ইসলামী দলের নেতাদের ধর্মীয় কারণে ভক্তি করে থাকেন। তাই তাদের সংশ্লিষ্ট কাজে শ্রদ্ধা, সম্মান ও গুরুত্ব দিলেও সামাজিক বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদেরকে ততটা উপযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য মনে করেন না। সেইসঙ্গে ইসলামী দলগুলোর রাজনৈতিক আদর্শ সুনির্দিষ্ট নয়, লক্ষ্য উদ্দেশ্যবিহীন এবং কর্মপরিকল্পনা অগোছালো। আবার যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে বা দিতে চায়, ভোটের মাঠে তাদের গ্রহনযোগ্যতা একেবারেই নেই। সমাজে ক্রিয়াশীল ও প্রভাব রাখা নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথেও তাদের যোগাযোগ ও আন্ত:সম্পর্ক সুখকর নয়। সবকিছুকেই সন্দেহের চোখে দেখে নিজেরাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, নিজ মাদ্রাসার ছাত্র-কেন্দ্রিক (যাদের অধিকাংশই ভোটার নয়) জনপ্রিয়তা ও জনসমাগমকে রাজনীতির মাঠের জনপ্রিয়তা মনে করা এক ধরনের বোকামি। প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ, বিএনপির মতো বড় দলগুলোর রাজনৈতিক শেকড় অনেক গভীরে এবং এসব দলের অধিকাংশ নেতারই সামাজিক অবস্থান অনেক সুসংহত। গত কয়েক বছরে নানা বিতর্কিত, অন্তর্ঘাত ও আপসমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামী দলের নেতারা তাদের সম্মানের জায়গাটুকুও নড়বড়ে করেছেন। এর প্রতিফলনই নির্বাচনে ঘটেছে। 

মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির যুগান্তরকে বলেন, ইসলামী দলগুলোর যে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তারা কেউই বিজয়ী হওয়ার জন্য নির্বাচনের পূর্বে যেমন জনগনের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করেননি, তেমনি নির্বাচনকালীন সময়ে বিজয়ী হবার মতো কৌশল প্রয়োগ করতে সক্ষম হননি। বলতে গেলে তারা লোক দেখানো নির্বাচন করেছেন। 

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে নির্বাচন করতে গেলে কি কি কৌশলের প্রয়োজন, সে বিষয়গুলো বুঝে তারা কতটুকু প্রয়োগ করেছেন এটা মূল বিষয়। যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারা তাদের এলাকার ভোটারদের কাছে আহ্বান পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। যদি তারা এ কাজটি করতে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তবে যত হেভিওয়েট প্রার্থীই হননা কেন তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। ভবিষ্যতে তাদের এমন লোক দেখানো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে বিরত থাকা দরকার।

ভোট বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী যুগান্তরকে বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনের যে পরিস্থিতি তাতে সৎ আদর্শবান মানুষের জিতে আসা অনেকটা কঠিন। এখন নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালোটাকার ছড়াছড়ি হয়। যে দেশে কালোটাকার মাধ্যমে ভোট কেনা যায় সেখানে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সরকারিভাবে ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হলেও এটির কোনো বাস্তবায়ন নেই। অনেকে শত কোটি টাকাও খরচ করেন। তাহলে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো হবে কিভাবে?

ইসলামী দলগুলোর প্রার্থীরা শুধু অংশগ্রহণের জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছেন কি না এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলো ‘দাওয়াতি রাজনীতি’ করে। সে হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়াটাও আমাদের দাওয়াতের অংশ। সবাই যে শুধু অংশগ্রহণ বা সুবিধার জন্য দাঁড়িয়েছে এমন নয়।


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম