ড. ইউনূস ও জামায়াতে ইসলামীর লোগো। ফাইল ছবি
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কারাদণ্ড দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন। তার বিরুদ্ধে সরকার পরিকল্পিতভাবে মামলা করেছে।
সরকারের প্রধান ব্যক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময়ে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধনকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে টুস করে পানিতে ফেলে দেওয়ার যে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে প্রতীয়মান হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের আদালতগুলোতে গত কয়েক মাস যাবৎ রাজনৈতিক নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় প্রদান করা হচ্ছে। আদালতের ফরমায়েশি রায়ে দেশবাসীর মনে ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে মুজিবুর রহমান বলেন, ড. ইউনূসও তার ব্যতিক্রম নন। সরকার দেশের জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়িয়ে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়। বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন ও জনপ্রিয় আলেমে দ্বিন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে জেলে রাখা হয় এবং চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একজন সমাদৃত ব্যক্তি। তিনিও মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকার তিন নম্বর শ্রম আদালতে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।