শাম্মীর বিরুদ্ধে হামলা-নির্বাচনি ক্যাম্প বন্ধের অভিযোগ পংকজের

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:১২ পিএম

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা হারানো ড. শাম্মী আহমেদেরে সমর্থকরা আপত্তিকর ভাষার ব্যবহার, হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিপক্ষের নির্বাচনি ক্যাম্প বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ করেছেন জাতীয় সংসদের ১২২ (বরিশাল-৪) আসনের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ।
রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর তিনি এ অভিযোগ জানান।
পঙ্কজ বলেন, ড. শাম্মী আহমেদ দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে প্রার্থিতা হারিয়েছেন। সবকিছু শেষে তার প্রার্থিতা এখনও হাইকোর্টের রিভিউয়ে আছে। কিন্তু তারপরও তার সমর্থকরা মিছিল করছে এবং আমার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
অভিযোগপত্রে পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকা-১২২, বরিশাল-৪ এ নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ প্রতীকধারী প্রার্থী আমরা তিনজন। এর মধ্যে আমি পঙ্কজ নাথ (ঈগল), মিজানুর রহমান (লাঙ্গল) এবং হৃদয় ইসলাম চুন্নু (ছড়ি) অংশগ্রহণ করছি। এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদ দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে প্রার্থিতা হারিয়েছেন। আমাদের এ আসনে নৌকা প্রতীকের কোনো প্রার্থী নেই। অথচ হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের রাজনৈতিক পদধারী কিছু সংখ্যক দুর্বৃত্ত নির্বাচনি পরিবেশকে বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
বিগত ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মেহেন্দিগঞ্জের উলানীয়া দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন চৌধুরীর নেতৃত্বে লালগঞ্জ বাজারে কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাম্মী আহমেদের পক্ষে মিছিল করে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় নির্বাচনী ক্যাম্প বন্ধ করে দেয়।
২২ ডিসেম্বর উলানিয়া উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জামাল মোল্লা শাম্মী আহমেদের পক্ষে মিছিল নিয়ে ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়, আমার বিরুদ্ধে অশ্রাব্য-অশালীন ভাষা ব্যবহার এবং সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়।
পঙ্কজ নাথ বলেন, ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের ট্যাকের বাজারে সন্ত্রাসী বাহিনী ঝন্টু বেপারী, সালাউদ্দিন রাড়ী আব্দুল করিম কবির, তানভীর মীর, কাউসারসহ আরও ১৫/২০ জন মিলে আমার কর্মী অহিদ সরদারকে রক্তাক্ত জখম করে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং ঈগল মার্কার অফিস ভাঙচুর করে। একইদিন সন্ধ্যায় চরএককরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মুকিম তালুকদার, খোরশেদ বেপারী, জাহাঙ্গীর কমিশনার, আবুল হোসেন আকন, আওলাদ হোসেন আকন, মাজেদ তালুকদার, শাকিল বেপারী, রিপন জমাদ্দারসহ বেশকিছু সন্ত্রাসী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের দাদপুর তেমুহনি বাজারে নৌকার মিছিল করে। তেমুহনি বাজার থেকে পাতারহাট বাজার পর্যন্ত শতাধিক হোল্ডার মহড়া দিয়ে নৌকার স্লোগান দেয় এবং ঈগল মার্কার সমর্থকদের নির্বাচনি প্রচারে বাধা ও ভয়ভীতি প্রদান করে শান্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
বরিশাল-৪ আসনের এ স্বতন্ত্র প্রার্থী আরও বলেন, রোববার সকালে হিজলা উপজেলার ধুলখোলা ইউনিয়নের আলীগঞ্জ বাজারে ঈগল মার্কার প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ করার সময় সন্ত্রাসী বাহিনী জামাল ঢালী, রবি ঢালী, সালাউদ্দিন সালা, নিজাম, রফিক ঢালী, আফসার, বাবুসহ ৫০/৬০ জন হামলা চালায় এবং আলিগঞ্জ বাজার মন্দির কমিটির সভাপতি রামপ্রসাদের বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সন্ত্রাসী বাহিনী বরিশাল-৪ আসনে নির্বাচন কমিশনের বরাদ্দ নেই এমন একটি প্রতীকের স্লোগান দিয়ে হামলা চালায়।