Logo
Logo
×

রাজনীতি

‘নির্বাচনের আগে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে’

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম

‘নির্বাচনের আগে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র চলছে’

নির্বাচনের আগে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে দেশবিরোধী চক্রের ইন্ধনে হেফাজত ও চরমোনাই পির তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসেন।  

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে তিনি বলেন, দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে দেশবিরোধী চক্রের ইন্ধনে হেফাজত ও চরমোনাই পির দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। যার কারণে বিতর্কিত মামুনুল হককে নিয়ে এতদিন তারা চুপ থাকলেও হঠাৎ তার মুক্তির দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি- বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অরাজনৈতিক দাবিদার হেফাজত নির্বাচনের আগে এ ঘোষণা দিয়েছে। হেফাজতের কোন কোন নেতা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করতে হবে।

‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সোনার বাংলাদেশে ধর্মের নামে অধর্মের চর্চা এবং হেফাজত ও চরমোনাই পিরের ‘সিন্ডিকেট ইসলামের’ আদ্যোপান্ত’ শিরোনামে এ সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি।  

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নামে কিছু আলেম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করে চরমোনাই পিররা রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য পবিত্র ধর্ম ইসলামের অপব্যবহার করছেন। তারা সবসময় নিজেদের মন মতো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে ইসলামকে ব্যবহার করেন। এ জন্য নিজেদের মতো করে একটি ‘সিন্ডিকেট ইসলাম’ বানিয়েছেন।

মামুনুল হকের মুক্তির বিরোধিতা করে মাওলানা ইসমাইল বলেন, যে মামুনুল হককে অবৈধভাবে একজন নারীর সঙ্গে রিসোর্টে থাকার কারণে হেফাজত থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল সেই মামুনুল হকের যারা মুক্তি দাবি করে তারা কি আলেম না ভন্ড এটা জাতির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই। হেফাজত নেতাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন, যদি মামুনুল হক এতই ভালো মানুষ হয় তাহলে আপনাদের নেতারাই তাকে হেফাজতের কমিটি থেকে বাদ দিয়েছিল কেন? কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার অর্থ ছিল- আপনারা তার অপরাধ বিবেচনায় নিয়েছিলেন- তাহলে এখন তার বিচার হওয়ার আগেই কেন আবার মিথ্যা দাবি করে মুক্তি দাবি করছেন- এটি কি আপনাদের দ্বিচারিতা নয়?   

চরমোনাই পিরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চরমোনাইর পির সাহেবদের জমিদখলসহ বিভিন্ন তথ্য জনগণ আমাদের জানিয়েছে। আমরা আগেই বলেছি- চরমোনাই পির সাহেব হয় পীরগিরি করবেন না হয় রাজনীতি করবেন। কিন্তু মানুষের ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে পিরালির নামে রাজনীতি চলবে না।  

হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা আহমদ শফী হত্যার বিচারের ধীরগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান। 

তিনি বলেন, এখনকার সিন্ডিকেট হেফাজতের নেতারাই আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত- যেটি তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলায়ও অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই বলেছি এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা আহমদ শফী ছিলেন বড় মাপের আলেম ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব। তাকে যে কিছু দৃষ্কৃতকারী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করেছে সেটি পিবিআইয়ের তদন্তেও উঠে এসেছে। আমরা অনতিবিলম্বে এই হত্যাকারীদের বিচার দেখতে চাই। আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলা কি থেমে গেল কিনা, বাংলার মানুষ জানতে চায়। যারা আগে আহমদ শফী হত্যার বিচার চেয়েছিল তারা এখন নিশ্চুপ কেন? এটিও বাংলার মানুষ জানতে চায়। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি পটিয়া মাদ্রাসায় যে অবরুদ্ধ অবস্থা চলছে এটিতে হেফাজতের কিছু নেতার অবৈধ হস্তক্ষেপের বিষয়টি জেনে জাতি তাদের ঘৃণা জানাচ্ছে। পটিয়া মাদ্রাসা বা কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হেফাজতের অফিসিয়ালি কোনো সম্পর্ক নেই। পটিয়ার সংকট কাটিয়ে উঠতে পটিয়া মাদ্রাসার বৈধ শূরা আছে। এতে সমাধান না হলে পটিয়ার নেতৃত্বাধীন শিক্ষা বোর্ড ইত্তেহাদ- আছে। তাতেও না হলে পর্যায়ক্রমে হাইয়া বোর্ড আছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংকট নিরসনে শিক্ষা বোর্ড থাকার পরেও হেফাজতের নামে সিন্ডিকেটের চিহ্নিত অপরাধীদের তৎপরতা আসলেই রহস্যময়। 

অবিলম্বে মাদ্রাসার শূরা কমিটির তত্বাবধানে পটিয়া মাদ্রাসা বুঝিয়ে দিয়ে বহিরাগতদের বের করে দেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানান মাওলানা ইসমাইল হোসেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম