নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে জাকের পার্টি!
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:২৫ পিএম
মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে জাকের পার্টি। নির্বাচনে ২১৮ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছে দলটি। রোববার সকালে এ তথ্য জানা গেছে। এবারের নির্বাচনে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিল দলটি।
তবে জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার জানিয়েছেন, তাদের দল সারা দেশে ২১৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুই শতাধিক আসন থেকে দলীয় প্রার্থী সরে দাঁড়াবে। তবে কিছু আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী থাকবে। সেই সংখ্যাটা দশেরও কম হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন আজ। বিকেল ৪টার মধ্যে বৈধ প্রার্থীরা রিটার্নিং কার্যালয়ে হাজির হয়ে অথবা বার্তাবাহকের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর আগামীকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন থেকেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এরমধ্যে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা বাতিল করেছেন ৭৩১টি। আর রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন। তবে পরে আপিলে অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
অন্যদিকে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, ৩৫টি আপিল দায়ের হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে। আর বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। সবমিলিয়ে ৫৬০টি আপিল দায়ের হয়েছিল।
তিনি জানান, ছয় দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮০টি আপিল আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছে। অর্থাৎ ২৮০ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এছাড়া দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে এবং ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। এই হিসেবে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০ জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আজ ১৭ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন। সবশেষ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।