আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এলে সবার আগে অভিনন্দন জানাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে যুগ্ম সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডাক্তার মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সভাপতি নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাই চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন।

ড.আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশের রাজনীতি বলতে কিছু নেই এখানে আছে শুধু হাজার লক্ষ কোটি টাকা পাচার এবং বড় বড় প্রকল্পের নামে লুটপাট ও দখল বাজি। ৫২ বছর আগে দেশের মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল, তার মূলে ছিল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু আজ দুটোর কোনোটিই নেই। আওয়ামী লীগ দেশকে ভালোবাসলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিক। জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হলে প্রথম আমি অভিনন্দন জানাব। না হলে এবার জুজুর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। নির্বাচনের পর সরকার ৫ দিন টিকবে কি না কেউ বলতে পারেন? ২০১৪ সাল আর ২০২৪ সাল কিন্তু এক না। জনগণের শক্তির কাছে কামান বা বুলেট কিছুই টেকে না। বিশ্বে এমন অসংখ্য নজির রয়েছে।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে রাজনীতি বলে কিছু নেই, রয়েছে অপরাজনীতি। এখানে ক্ষমতার নামে চলছে দখল ও চাঁদাবাজি আর টাকা পাচার। ৫২ বছর আগে দেশের মানুষ যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল, তার মূল দুটি উদ্দেশ্য গণতন্ত্র ও মানুষের মুক্তি আজও অর্জন হয়নি।

তিনি বলেন, এ সরকার মুখে যা বলে, কাজে তা করে না। যা বলেনা, তাই করে। তারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক সরকার বলে পরিচয় দেয়। আর বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলে। তারা মিথ্যা কথা বলে বারবার জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তারাও হিটলারের মন্ত্রী গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে। কিন্তু সরকারের পায়ের নিচের মাটি কখন সরে যায় বলা যায় না।

তিনি বলেন, সরকারের কথা এখন নিজেরাই (দলের লোক) বিশ্বাস করে না। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার কারণে তারা মনে করছে নির্বাচনের কি দরকার। কোনো সরকার গণতন্ত্রের ভান ধরলে সেই সরকার স্বৈরাচারের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর। নির্বাচনের নামে বানরের পিঠা ভাগাভাগি হচ্ছে। এই ভাগাভাগিতে জনগণ নেই। জানুয়ারির ৭ তারিখে ভোটাররা ওই ভোট বর্জন করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।