বিএনপি ছেড়ে নৌকার মনোনয়ন নেওয়ার কারণ জানালেন শাহজাহান ওমর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৬ পিএম
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর । ফাইল ছবি
দ্বাদশ সংসদ ঘিরে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত নাম ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। সারাজীবন বিএনপির রাজনীতি করা বর্ষীয়ান এই নেতা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে চমক দেখিয়েছেন। রাজনীতিতে ইউটার্ন নিয়ে সরাসরি নৌকার মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। দলের সিনিয়র এই নেতার এমন সিদ্ধান্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের মনে দাগ কেটেছে। তবে আওয়ামী লীগ শিবিরে বাহবা পাচ্ছেন ব্যারিস্টার ওমর। দেশের রাজনীতিতে তাকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাকে ঘিরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
আরও পড়ুন: ‘শাহজাহান-ইব্রাহিম নিজেদের পজিশন বুঝলেন না’
বৃহস্পতিবার রাতে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে যমুনা টেলিভিশনের এক আলোচনায় হাজির হন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হওয়া ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। সেখানে খোলামেলা অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। কেন বিএনপি ছেড়ে নৌকার মনোনয়ন নিয়েছেন সে প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন শাহজাহান ওমর।
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, আমি ডেমোক্রেট। আমি নির্বাচন করতে চাই। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে যায়নি। এবারও নির্বাচনে যাবে না। এ নিয়ে আমি বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়— সিনিয়র নেতাদের নিয়ে মিটিং কম হয়। সেখানে আলোচনা করার সুযোগ কম। দু’একটি সভায় আলোচনা হয়েছে, কিন্তু তেমন ফলপ্রসূ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর ধরে পার্লামেন্টের বাইরে আছি। আমাদের তো একটা জনগণের কাছে কমিটমেন্ট আছে। যখন জনগণের কাছে যাই, তখন খুবই লজ্জা লাগে। তারা (জনগণ) বলে স্যার, আর কতদিন সংসদের বাইরে থাকবেন।
বর্ষীয়ান এই নেতা বলেন, আমি জানি, বিএনপি করার কারণে অনেক নেতাকর্মী কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এগুলো দেখে আমার মায়া লাগে। সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলা যাবে না। নির্বাচন করব জনগণ যদি ভোট দেয়, তা হলে নির্বাচিত হব। আর না দিলে নির্বাচিত হব না। যাদের জন্য ভোট করব, তারা যদি আমাকে ভোট দেয় তা হলে জিতলাম। আর হেরে গেলে, বলব তোমাদের দাবির মুখে নির্বাচন করলাম, হেরে গেছি। আমি কিন্তু হারিনি হেরেছ তোমরা (জনগণ)।
নৌকা পেলে নির্বাচিত হওয়া যাবে এটা প্রচলিত ধারণা আছে। তা হলে আওয়ামী লীগ থেকে আপনি নির্বাচিত হওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েই কী নির্বাচনে গেছেন?
জবাবে ব্যারিস্টার শাহজাহান বলেন, বিষয়টি এমন নয়, বাংলাদেশে মূলত দুটি পার্টি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আরেকটি আঞ্চলিক দল আছে, জাতীয় পার্টি। এটা শুধু রংপুর অঞ্চলে। আরও কিছু ছোট ছোট দল আছে। ৫১টি পকেট পার্টি আছে। কিন্তু এমপি হওয়ার মতো কয়জন আছে? কাজের দল হচ্ছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। বিএনপি নির্বাচন বয়কট করল। আমি নির্বাচন করতে চাই— এটিই হচ্ছে মূলকথা।