ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে তর্ক, আ.লীগ নেতার গুলি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০২:০৮ এএম
রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় একজন নেতা। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
ঘটনার পর শাহবাগ থানায় দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে ওই আওয়ামী লীগ নেতার অস্ত্রটি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বহির্বিভাগসংলগ্ন রসনাবিলাস নামের একটি রেস্তোরাঁর সামনে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোশাররফ হোসেন শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। গুলি ছোড়ার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন কোতোয়ালসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
তাদের একজন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রসনাবিলাস রেস্তোরাঁর মালিক লিটন ১৭ নভেম্বর শারফিন মিয়া নামের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে তাকে ব্যাপক মারধর করেন। ওই কর্মচারীকে বাঁচাতে গেলে মো. ইফতি নামের আরেক কর্মচারীকেও মারধর করা হয়। পরে তাদের চাকরিচ্যুতও করা হয়। ইফতির গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক এক সহসভাপতিকে ইফতি বিষয়টি জানালে তিনি শাহবাগের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকিরকে নিয়ে রোববার রাতে রসনাবিলাস রেস্তোরাঁয় যান। সেখানে কথা চলার এক পর্যায়ে পিস্তল বের করে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন। লোকজন তাকে ঘিরে ফেললে তিনি আরও একটি গুলি ছোড়েন৷
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গুলির খোসা উদ্ধার করে। পরে রাতে শাহবাগ থানায় স্থানীয় কাউন্সিলর (ঢাকা দক্ষিণের ২১ নম্বর ওয়ার্ড) আসাদুজ্জামানের উপস্থিতিতে পুলিশ কর্মকর্তারা দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। থানায় আলোচনার পর বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে বলে দাবি করেন কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান।
শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদ বলেন, মোশাররফ হোসেনের কাছে লাইসেন্স করা পিস্তল ছিল। দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোলের এক পর্যায়ে তিনি ফায়ার করেন (গুলি ছোড়েন)। সম্ভবত দুটি গুলি ছোড়েন তিনি। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। দুই পক্ষ নিজেরা বসে সমাধান করে নিয়েছে। মোশাররফ হোসেনের পিস্তলটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তিনি লিখিত দিলে পরে দেখা যাবে।