‘নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশের মানুষ এখন এই উপলব্ধিতে রয়েছে যে, বাংলাদেশে বর্তমানে ‘ইলেকশন ইলেকশন খেলা’র ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে আছে। কাজেই খামোখা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ‘টাইম আর এনারজি’ নষ্ট করে কি লাভ?
তিনি আরও বলেন, সরকার নির্বাচনের যে তামাশা মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করছে তার আড়ালে তাদের বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুশীলনের ভন্ডামি এখন দেশে বিদেশে সবার কাছেই উন্মোচিত হয়ে গিয়েছে। জনগণের এই আন্দোলন অব্যাহত রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আদর্শকে আবার আমরা সমুচ্চ করে বিশ্বে এদেশের আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।
বিএনপির চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতা নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, চলমান আন্দোলন হচ্ছে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মানুষের প্রাণের আন্দোলন। অন্যদিকে রয়েছে সকল প্রকার রাইফেল, বুলেট, টিয়ার গ্যাস, গ্রেনেড নিয়ে সরকারের মারমুখী প্রশাসন, যাকে আবার সহায়তা দিচ্ছে সরকারী দলের সন্ত্রাসী বাহিনী। এই সত্যের আলোকেই আজকের বিরোধী দলের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনকে বিশ্লষণ করতে হবে। এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আজকের আন্দোলনের প্রকৃত স্বরূপ উদ্ভাসিত হবে। কাজেই আমরা পূর্ণ ধৈর্য বজায় রেখে আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে ক্রমান্বয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, যে নৈতিক শক্তির কাছে এই একদলীয় সরকার যথাসময়ে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হবে। এটা ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র নেতা আরও বলেন, সরকারের সাজানো নির্বাচনের ইশতেহার নিয়ে কারো উদ্বিগ্ন হবার কোন কারণ নেই। কয়েকদিন যাবৎ যে হারে মনোনয়নের আবেদনপত্র বিক্রি হচ্ছে, তাতে আগামী প্রহসনের নির্বাচনের প্রার্থী সংখ্যা সত্যিকার ভোটার সংখ্যার চেয়েও বেশি হয়ে গেলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না! কেন না, এদেশের ভোটাররা এখন এই সরকারের নির্বাচনের মাহাত্ম্য জেনে ফেলেছে যে, এদেশে নির্বাচনে কারো আর ভোট দেবার প্রয়োজন নেই। ভোট এখন স্বয়ংক্রিয় ভাবেই হয়ে যায়।