সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। ফাইল ছবি
সম্প্রতি রাজনৈতিক মতানৈক্য আর সংঘাতের মধ্যেই তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি। এদিকে তফশিলকে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে টানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে দলটি।
আরও পড়ুন: আবারও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে সমসাময়িক নানা ইস্যু নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে টকশোর আয়োজন করা হয়। সেখানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
টকশোর একপর্যায়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী লীগের ভাষায় বিএনপি গর্তে লুকিয়েছে। আজকে তারা (আওয়ামী লীগ) বলে রুহুল কবির রিজভী অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করছে। এটা কত বড় লজ্জার ব্যাপার! এটা যে আওয়ামী লীগের জন্য কত বড় লজ্জার, তারা প্রধান বিরোধী দলকে ঠেল ঠেলতে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে। তারা এখন লুকানো অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি দিতে হয়। এই লজ্জাটা কি আওয়ামী লীগের গায়ে লাগে না?
রুমিন বলেন, আওয়ামী লীগ ৭৫ বছরের পুরনো দল, যারা দাবি করে গণতন্ত্রের সংগ্রামে তারা সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। যদিও তাদের হাতে বারবার গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। একদল কায়েম করা থেকে শুরু সব কিছু তাদের আমলে হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ নির্বাচন তাদেরই করা।
তিনি আরও বলেন, একটা সময় বাংলাদেশের জন্মের আগে স্বাধীনের আগে পাকিস্তান শাসনামলে সত্যিকার অর্থে সংগ্রাম করে টিকে ছিল এ দলটি। সংগ্রাম করেই তার অবস্থান তৈরি করেছে। সেই দলটার কি লজ্জা হয় না? ২০১৪ ও ২০১৮-এর কালিমার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে তাদের ব্যাপারে মানবাধিকারের অভিযোগ, তাদের ব্যাপারে বাকস্বাধীনতা নষ্ট করার অভিযোগ, তাদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, তাদের ওপরে বিরোধী দলমতকে নিশ্চিহ্ন করার অভিযোগ— এর পরও কি এ সংগঠনটির লজ্জা হয় না?