মিছিল সমাবেশ শোডাউন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজপথে ছিল আ.লীগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৯ পিএম
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর চতুর্থ দফার অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন রোববারও রাজপথে ছিল আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সকাল থেকেই দলটির নেতাকর্মীদের অবস্থান ছিল।
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে মিছিল-সমাবেশ ও মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন করে। এছাড়া গত কয়েক দিনের কর্মসূচির মতো এদিনও কিছু জায়গায় হওয়া মিছিল-সমাবেশে লাঠিসোঁটা হাতে মহড়া দিতে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের।
দুপুর দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো হওয়া দলটি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অবস্থান নিয়েছেন। রোদ থেকে বাঁচাতে শামিয়ানা টানিয়ে নিয়েছেন। অনেকে প্যাকেট থেকে খাবার খাচ্ছেন। কার্যালয়ের সামনের সড়কের একপাশে বানানো মঞ্চে গান গাইছেন শিল্পীরা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জানান, নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সকাল থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্দেশ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, গোলাম সারোয়ার কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, সদস্য গিয়াস উদ্দিন পলাশ প্রমুখ।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। মোহাম্মদপুর, আদাবরের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। অন্যদিকে গাবতলী মিরপুরের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।
এসময় আগা খান মিন্টু এমপি, মিজানুর রহমান মিজান, মিজানুল হক মিজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উত্তরের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পির নেতৃত্বে মিরপুর-১০ নম্বরে অবরোধ বিরোধী মিছিল ও সমাবেশ হয়। এ সময় রাস্তার উলটো পাশে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিছিল করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজউদ্দিন আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈনুদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
দুপুরের দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদসহ কেন্দ্রীয় এবং উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শ্রমিক লীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সতর্ক থাকতে দেখা যায়।
ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের নেতৃত্বে ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন স্থানে কয়েকশ মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল হয়। যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্নার নেতৃত্বে শেখ রাসেল পার্কের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
ঢাকা শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী হাবিবুর রহমান হাবুর নেতৃত্বে দোলাইপাড়ে গোল চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
বিএনপির ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে রোববার মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করে ডিএনসিসি ৪২নং ওয়ার্ড (বেরাইদ) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। শান্তির সপক্ষে এই শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আইয়ুব আনসার মিন্টু।
বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়েত উল্লাহ রন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রায় বেরাইদ আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে ছোলমাইদ, ভাটারা, নতুনবাজার, শাহাজাদপুর, বাড্ডা, রামপুরা, প্রগতি সরণি প্রদক্ষিণ করে ফের বেরাইদ গিয়ে শেষ হয়।